Advertisement
E-Paper

আজ ফের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বৈঠক

গত বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, কেরলের টমাস আইজ্যাক, কংগ্রেস ও বিরোধী শাসিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা নির্মলাকে সাফ জানান, তিনি কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত সংখ্যার জোরে সকলের উপর চাপাতে পারেন না।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা 

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২০ ০৫:২৪
Share
Save

জিএসটি ক্ষতিপূরণের প্রশ্নে আগের দু’টি বৈঠক উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্কে কেটেছে। কাজের কাজ তেমন হয়নি। ৫ অক্টোবরের বৈঠকে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত রাজ্যের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা এককাট্টা হয়ে রুখে দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ, কেরলের মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা। কাল, সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পৌরহিত্যে জিএসটি পরিষদের তিন নম্বর বৈঠকটিও অমীমাংসিতই থাকবে কি না, সেই দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। তবে সূত্রের খবর, অ-বিজেপি রাজ্যগুলি ক্ষতিপূরণের ঘাটতি মেটানোর পথ বার করতে মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠনের যে পরামর্শ দিয়েছে, এ দিন সে ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে।

অতিমারিতে আয় তলানিতে ঠেকার কারণ দেখিয়ে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে না জানানোর পর থেকেই দু’পক্ষের বিরোধ তুঙ্গে। তার উপরে ওই ক্ষতিপূরণ ভরতে সব রাজ্যকে ধার করার পরামর্শ দিয়েছেন নির্মলা। অ-বিজেপি রাজ্যগুলির অভিযোগ, কেন্দ্র জিএসটি চালুর সময়ে দেওয়া ক্ষতিপূরণ মেটানোর শর্ত তো ভাঙছেই, পায়ের তলার জমি কেড়ে আর্থিক ভাবে দুর্বল করার চেষ্টাও করছে।

গত বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, কেরলের টমাস আইজ্যাক, কংগ্রেস ও বিরোধী শাসিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা নির্মলাকে সাফ জানান, তিনি কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত সংখ্যার জোরে সকলের উপর চাপাতে পারেন না। যাঁরা আপত্তি তুলছেন, তাঁদের অগ্রাহ্য করা যাবে না। কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বিজেপির দিকে ঝুঁকে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানাও শামিল হয়। এর পরে নির্মলা পিছিয়ে যান।

বিজেপি ও এনডিএ শাসিত ২১টি রাজ্য অবশ্য কেন্দ্রের প্রস্তাব মতো জিএসটি ক্ষতিপূরণের ঘাটতি মেটাতে ধারে রাজি। এ বার তাদের দাবি, টাকা সংগ্রহে দ্রুত সেই পথে হাঁটতে দেওয়া হোক। রাজ্যগুলিকে নির্মলার দু’টি প্রস্তাব ছিল— এক, জিএসটি চালুর ফলে যে আয় কমেছে, রাজ্যগুলি সেই ৯৭ হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে ধার করতে পারে। অথবা জিএসটি চালু ও করোনার জেরে যে ২.৩৫ লক্ষ কোটি আয় কম হয়েছে, তার পুরোটাই ধার করতে পারে। ওই ২১টি রাজ্য প্রথম বিকল্প বেছে নেয়। তবে তাদের একাংশের চাহিদা মেনে ওই ৯৭ হাজার কোটি বাড়িয়ে ১.১০ লক্ষ কোটি টাকা করা হয়েছে।

Economy India Finance Nirmala Sitharaman

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}