—ফাইল চিত্র
কারোশি। জাপানি শব্দ। অর্থ, কাজের চাপে মৃত্যু। তা হতে পারে হৃদরোগে, স্ট্রোকে, কিংবা ঠিক সময়ে ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া না করার ফলে। প্রায় পাঁচ দশক এই কারোশির ভূতই তাড়া করে ফিরছে কাজপাগলের দেশকে। কমেছে জন্মহার। এ বার সরকার নড়েচড়ে বসেছে। ঠিক করেছে, খাটনি কমাতে হবে। তার বদলে কাজের মধ্যে আনতে হবে বৈচিত্র। যাতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই মানুষ কাজ করেন। উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে। সেই অনুযায়ী অগস্টে পরীক্ষামূলক ভাবে কাজের সময় কমিয়ে অবিশ্বাস্য সাফল্য পেয়েছে মাইক্রোসফট জাপান। কমেছে খরচ, বেড়েছে ব্যবসা।
অগস্টে ঠিক কী পদ্ধতিতে কাজ করেছে সংস্থাটি?
মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ওই মাসে ২৩০০ জন কর্মী সপ্তাহে চার দিন করে কাজ করেছেন। শুক্রবার দেওয়া হয়েছিল বিশেষ ছুটি (স্পেশাল লিভ)। মুখোমুখি বৈঠকের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৩০ মিনিটে। তা-ও খুব বেশি হলে পাঁচ জনের মধ্যে। তার পরেও কাজের কথা বাকি থাকলে তা করতে হত অনলাইন চ্যাটে। ইমেলে নয়। কর্মীরা সপ্তাহে মাত্র চার দিন অফিসে এলেও এতেই নাকি বেড়ে গিয়েছিল কাজের গুণমান। ওই মাসে এক বছর আগের তুলনায় কর্মী প্রতি ব্যবসা বেড়েছে প্রায় ৪০%। বিদ্যুতের খরচ এক-চতুর্থাংশ কমেছে। অর্ধেক হয়েছে কাগজের ব্যবহার। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘কর্মীরা কাজে বৈচিত্র চান। এ বার আরও বিস্তৃত ভাবে এই পরীক্ষা হবে।’’
আগামী শীতে একই পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি। তবে এ দফায় বিশেষ ছুটি মিলবে না। কর্মীদের উৎসাহ দেওয়া হবে নিজেদের প্রাপ্য ছুটি নিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy