এক দিকে জ্বালানি আমদানির লম্বা বিল ছোট করে আনা, অন্য দিকে দূষণ কমানো— এই দুই লক্ষ্য পূরণের যুক্তি দেখিয়েই মোদী সরকার দেশে পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোয় জোর দিতে বলে গাড়ি সংস্থাগুলিকে।। কিন্তু তার জন্য উপযুক্ত নীতির অভাব নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে শিল্পমহল। বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়াতে যে আর্থিক উৎসাহ প্রকল্প (ফেম) এনেছে কেন্দ্র, এ বার তার দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলল তারা। সোসাইটি অব ম্যানুফ্যাকচারার্স অব ইলেকট্রিক ভেহিকলস (এসএমইভি) জানাল, এখনও লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও পৌঁছনো যায়নি। তাই বাজেটে প্রকল্পটি ঢেলে সাজানো হোক।
পাঁচ বছর আগে শুরু হয়েছিল ফেম-১ প্রকল্প। ২০১৯ সালে তিন বছরের জন্য চালু হয় ফেম-২। তাতে বরাদ্দ বিপুল বাড়লেও, তা এ ধরনের গাড়ির চাহিদার বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট নয় বলে অভিযোগ ছিল শিল্পের একাংশের। এএমইভি-রও দাবি, দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি কম দামি বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে সুবিধাজনক নয়। ফলে সেই সব ক্রেতাদের নাগালের বাইরে থাকছে এটি।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে দেওয়া চিঠিতে এসএমইভি-র ডিজি সোহিন্দর গিল বলেছেন, ‘‘বৈদ্যুতিক গাড়ির বিষয়টি প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। এমন শিল্প সরকারি নীতি নির্ভর। সেই বাজার গড়তে কার্যকরী পদক্ষেপ জরুরি। দু’বছরে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১০% ছোঁয়া গিয়েছে। তাই চাহিদা বাড়াতে বাজেটে পদক্ষেপ দরকার।’’
এসএমইভি-র মতে, ফেম-২ প্রকল্পে ভর্তুকির সুবিধার শর্ত এমনই যে তাতে কম দামি গাড়ির ক্রেতার লাভ হচ্ছে না। বিশেষত দু’চাকার ক্ষেত্রে কম দামিগুলিতে সেই সুবিধা জরুরি। তা না মেলায় তাই পেট্রলচালিত মোটরবাইক দুষণ ছড়ালেও ক্রেতাদের বৈদ্যুতিক গাড়ির দিকে টানা যাচ্ছে না। এমন গাড়ি যাতে পেট্রল-গাড়ির দামেই মেলে, তার উপযুক্ত নীতি তৈরির পক্ষে সওয়াল করেছে তারা। পাশাপাশি ব্যাটারি ছাড়া বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর জিএসটি কমানো, দূষণ ছড়ায় এমন জ্বালানির গাড়িতে ‘গ্রিন সেস’ বসিয়ে সেই অর্থে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য তহবিল গড়ারও আর্জি জানিয়েছে সংগঠনটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy