ঋণে সুদে ছাড় পাওয়ার সুবিধাও বন্ধ হয়েছে ডিসেম্বরের শেষ থেকে। —প্রতীকী চিত্র।
এক দিকে সুদ কমছে না। অন্য দিকে রফতানি ঋণের অঙ্ক কমিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। পাশাপাশি, ঋণে সুদে ছাড় পাওয়ার সুবিধাও বন্ধ হয়েছে ডিসেম্বরের শেষ থেকে। ওই সব কারণে আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন রফতানিকারীরা। বিশেষত, রফতানি পণ্য প্রস্তুতকারী ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির সঙ্কট বেড়েছে বেশি। রফতানি শিল্পের অভিযোগ, এর ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে পিছিয়ে পড়ছে তারা। যে কারণে কেন্দ্র এবং বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির সাহায্য দাবি করেছেন রফতানিকারীরা।
সম্প্রতি বণিকসভা সিআইআইয়ের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, “নগদের জোগানের অভাবে ভারতীয় রফতানিকারীদের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’’ একই দাবি জানিয়ে এই ক্ষেত্রের সংগঠন ফিয়োর পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান যোগেশ গুপ্ত বলেন, রফতানি ঋণের জন্য চালু থাকা ‘ইন্টারেস্ট ইকুইলাইজেশন’ প্রকল্পটি জানুয়ারি থেকে বন্ধ হয়েছে। এতে রফতানির জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিলে সুদে ৩% পর্যন্ত ছাড় মিলত। তা ছাড়া রফতানি পণ্য তৈরির জন্য কাঁচামাল কিনলে বা আমদানি করলে যে কর মেটাতে হয়, তা-ও ফেরত পাওয়া যেত। শুল্ক-কর ছাড় সংক্রান্ত ‘রোড-টেপ’ প্রকল্পটিতেও তৈরি হয়েছে নানা জটিলতা। সব মিলিয়ে নগদের সংস্থান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দু’বছরে রফতানি ঋণের অঙ্ক কমেছে ৫%।
এই অবস্থায় রোড-টেপ প্রকল্পটির মেয়াদ ৩ বছর করার আর্জি জানিয়েছেন রফতানিকারীরা। বুধিয়া বলেন, রফতানিকারীদের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্র ও ব্যাঙ্কগুলিকে এগিয়ে আসা উচিত। এই সমস্যার সমাধানের উপায় দ্রুত বার করা জরুরি।
এ দিকে, বস্ত্র রফতানিকারীদের সংগঠন এইপিসি আবার বাজেটে করে ছাড়-সহ বেশ কিছু সুবিধা দাবি করেছে কেন্দ্রের কাছে। সে ক্ষেত্রে ছোট সংস্থাগুলিকে ৪৫ দিনের মধ্যে বরাতের দাম মেটানোর নিয়ম শিথিল করতে আর্জি জানিয়েছে তারা। বলেছে, এই ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রের আমদানি শুল্ক কমানো এবং ইন্টারেস্ট ইকুইলাইজ়েশন প্রকল্পে ৫% পর্যন্ত সুদে ছাড়ের কথাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy