—প্রতীকী ছবি।
কোভিড চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল সঞ্চয় কেন জরুরি। কিন্তু ওই কোভিডেই বহু গৃহস্থের আয় ধাক্কা খায়। পরে চড়া মূল্যবৃদ্ধি খরচ আরও বাড়ায়। ফলে ওই সব পরিবারে সঞ্চয় আর মাথা তুলতে পারেনি। বরং অনেকে ধার করতে বাধ্য হন। সেই ছবিই ধরা পড়ল পরিসংখ্যান মন্ত্রকের হিসাবে। চলতি বছরের রিপোর্টে উঠে এল ভারতের গৃহস্থ পরিবারে ধারাবাহিক ভাবে কমতে থাকা সঞ্চয় এবং বাড়তে থাকা ধারের আশঙ্কাজনক খতিয়ান। দেখা গেল নিট সঞ্চয় তিন বছরে ৯ লক্ষ কোটি টাকা কমেছে। ২০২০-২১ সালে ছিল ২৩.২৯ লক্ষ কোটি, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ঠেকেছে ১৪.১৬ লক্ষ কোটিতে। ব্যাঙ্কে ধার ৬.০৫ লক্ষ কোটি থেকে উঠেছে ১১.৮৮ লক্ষ কোটি টাকায়।
অতিমারির হানার আগেই দেশে অর্থনীতির ঝিমুনিতে মাথা নামিয়েছিল গৃহস্থের সঞ্চয়। ২০১৭-১৮ সালে তার নিট পরিমাণ নামে ১৩.০৫ লক্ষ কোটি টাকায়। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ছিল ১৫.৪৯ লক্ষ কোটি। করোনার প্রথম ঢেউ সামাল দিতে দীর্ঘ লকডাউনে বাজারহাট বন্ধ থাকায় মানুষ কেনাকাটাই করতে পারেননি। ২০২০-২১ সালে নিট সঞ্চয় একটু বেড়ে ২৩ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়ায়। কিন্তু কেন্দ্রের হিসাবে স্পষ্ট, তার পরে সেই বাক্স ক্রমাগত কমেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, অতিমারি রুটিরুজিতে ধাক্কা দেওয়ায় আমজনতাকে সঞ্চয়ের ভাঁড়ারে হাত দিতে হয়েছিল। খরচ চালাতে করতে হয় দেনাও। খরচ আরও বাড়ে খাদ্য-সহ অত্যাবশ্যক পণ্যগুলির চড়া দামে। বর্ধিত সুদে ভারী হয় ঋণগ্রহীতার ধারের বোঝা।
তবে ওই সময় ফান্ডে লগ্নি ৬৪,০৮৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১.৭৯ লক্ষ কোটি। শেয়ার-ডিবেঞ্চারে লগ্নি ১.০৭ লক্ষ কোটি থেকে বেড়ে ২.০৬ লক্ষ কোটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy