ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন শিল্পের মধ্যে করোনার ঢেউ তাদেরকেই সবচেয়ে আগে ধাক্কা দিয়েছিল বলে দাবি করে আসছে পর্যটন ক্ষেত্র। এই ধাক্কা কাটিয়ে শিল্পের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য ঋণ সহজলভ্য করার বার্তা দিলেও, সরাসরি আর্থিক সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে পর্যটন। কলকাতার পর্যটন মেলায় এসে সেই দাবিতেই আরও জ্বালানি দিলেন উত্তরাখণ্ডের পর্যটন বিভাগের কর্তা। জানালেন, তাঁদের রাজ্যে কী ভাবে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে এই ক্ষেত্রকে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রবিবার তিন দিনের পর্যটন মেলা শেষ হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের পর্যটন বিভাগের অতিরিক্ত ডিরেক্টর বিবেক চৌহান জানান, গত বছর সে রাজ্যে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা ও তাদের কর্মীদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছিল। এ বার পর্যটন, হোটেল ও পরিবহণ ক্ষেত্রের নথিভুক্ত সংস্থাগুলির ৫০,০০০ কর্মীকে অগস্ট থেকে ছ’মাসের জন্য মাসে ২০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেবেন তাঁরা। নথিভুক্ত পর্যটন সংস্থাগুলিকেও এককালীন ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। মকুব করা হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি ফি। চৌহান জানান, ২০১৯ সালে তাঁদের রাজ্যে তিন কোটি পর্যটক গিয়েছিলেন। এ বছর সেই ব্যবসার ৬০% পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যেই এই শিল্পের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাঁরা।
ট্র্যাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের প্রাক্তন সচিব নীলাঞ্জন বসু এবং বর্তমান সচিব অমিতাভ সরকার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, সরকারের মাধ্যমে সরাসরি আর্থিক সাহায্য পেলে বছর তিনেকের মধ্যে পর্যটন শিল্পের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা যথেষ্ট। এ রাজ্যে অ্যাসোসিয়েশন অব ডোমেস্টিক টুর অপারেটরস অব ইন্ডিয়ার সভাপতি দেবজিৎ দত্তের বক্তব্য, আর্থিক সাহায্য প্রান্তিক সংস্থাগুলিকে অক্সিজেন জোগাবে। তবে তিনি জানান, অন্ধ্রপ্রদেশ, মণিপুরের মতো কয়েকটি রাজ্যও এই ধরনের পদক্ষেপ করেছে। ঋণের সুদে শর্তসাপেক্ষে ভর্তুকি দেবে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। যদিও ক’টি সংস্থা ঋণ নেওয়ার মতো অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল পর্যটন শিল্পের জাতীয় সংগঠনগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy