—প্রতীকী চিত্র।
মোট মূল্যের নিরিখে হিসাব করা দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে কৃষির অবদান কমেছে। গত আর্থিক বছরে তা ঠেকেছে ১৫ শতাংশে। অথচ ৩২ বছর আগে ১৯৯০-৯১ অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির ঝুড়িতে এই ক্ষেত্রের ভাগ ছিল ৩৫%। আজ লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা বলেন, তবে এর অর্থ এই নয় যে দেশে কৃষি উৎপাদন কমে গিয়েছে। বাস্তবে আর্থিক বৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় অবদানের নিরিখে কৃষিকে অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়েছে শিল্প এবং পরিষেবা ক্ষেত্রের উন্নতি।
মুন্ডা জানিয়েছেন, “আর্থিক বৃদ্ধির মোট যুক্ত মূল্যের (জিভিএ) নিরিখে কৃষির অবদান ৩৫% থেকে কমে ১৫% হয়েছে। শিল্প এবং পরিষেবার মোট মূল্য দ্রুত বেড়ে তা দেশের আর্থিক বৃদ্ধির গতি বাড়িয়েছে। কিন্তু তা বলে কৃষি উৎপাদনের মোট মূল্য কমে গিয়েছে, এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই।’’ তিনি বলেন, শুধুমাত্র ভারতে নয়, বিশ্ব জুড়েই আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কৃষির অবদানের হার কমে যাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বে তা এসে ঠেকেছে প্রায় ৪ শতাংশে।
কৃষিতে অগ্রগতির ব্যাপারে বলতে গিয়ে মুন্ডার দাবি, গত ৫ বছর ধরে কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের উন্নতি হচ্ছে বার্ষিক ৪% হারে। কৃষির উন্নতির জন্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য নতুন নীতি প্রণয়ন, বিভিন্ন প্রকল্প চালু, কৃষি পরিকাঠামোর উন্নয়ন, চাষির আয় বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ। এই প্রসঙ্গে ২০১৯ সালে চালু করা প্রধানমন্ত্রী-কিসান প্রকল্প এবং বছরে তিন কিস্তিতে চাষির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট ৬০০০ টাকা অনুদান দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী। গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১১ কোটি চাষিকে মোট ২.৮১ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy