মরিয়া: ধর্মতলার কাছে একটি পাম্পে ভিড়। ছবি: রণজিৎ নন্দী
বর্ষায় ইথানল মিশ্রিত পেট্রলের জোগান বন্ধ করা, কমিশন বৃদ্ধি-সহ বিভিন্ন দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টার পেট্রল পাম্প ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত তিন তেল সংস্থার ডিলারদের যৌথ সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউবিপিডিএ)। তবে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বৈঠকের পরে বিকেলে তা প্রত্যাহার করে তারা। তার আগে দিনভর সারা রাজ্যে তেল বিক্রির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মিশ্র ছবি। তিন তেল সংস্থার কিছু পাম্প যেমন বন্ধ ছিল, তেমন কিছু খোলা থাকতেও দেখা গিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের অনেকেই গাড়িতে জ্বালানি ভরতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েন।
ক্রেতারা বলছেন, বেশ কিছু পাম্প খোলা থাকায় আরও বেশি সমস্যার হাত থেকে রেহাই মিলেছে ঠিকই। তবে খোলা পাম্পের খোঁজে ঘুরেও বেড়াতে হয়েছে অনেককে। যেখানে তেল মিলেছে, সেখানে আবার গাড়ির লম্বা লাইন ছিল। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরে ভরা গিয়েছে জ্বালানি। কোথাও কোথাও লাইন এবং ভিড়ভাট্টার জেরে কোভিড বিধি শিকেয় উঠেছে।
ডব্লিউবিপিডিএ-র যুগ্ম সম্পাদক প্রসেনজিৎ সেনের দাবি, ‘‘রাজ্যের ৯০% পাম্পই এ দিন তেল কেনাবেচা বন্ধ রাখার কর্মসূচিতে শামিল হয়। তবে বৈঠকে পরিবহণমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, বর্ষার সময়ে ইথানল মিশ্রিত পেট্রল বিক্রি বন্ধ রাখার জন্য শীঘ্রই তিনটি তেল সংস্থা এবং ডিলারদের নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকবেন। তাই তোলা হয়েছে কর্মসূচি। আইওসি-কেও দাবি জানানো হয়েছে।’’
দাবিগুলিকে সমর্থন করলেও ধর্মঘটে শামিল হয়নি ইন্ডিয়ান অয়েল ডিলার্স ফোরাম (আইডিএফ)। তাদের প্রেসিডেন্ট জন মুখোপাধ্যায় অবশ্য জানান, রাজ্যে আইওসির ১৪১৯টি পাম্পের মধ্যে ১০৩৭টি খোলা ছিল। তবে অন্য দুই সংস্থার বহু পাম্প বন্ধ থাকায় পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কথা মানছেন তিনি।
এ দিনের ধর্মঘটকে সে ভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ আইওসি। তাদের দাবি, সব নীতিই জাতীয় স্তরে ঠিক হয়। তাই রাজ্যে আলাদা করে এ নিয়ে তাদের খুব কিছু করার নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy