প্রতীকী ছবি
বছর দেড়েকের আর্থিক ঝিমুনি ও করোনা সঙ্কটে বেহাল দেশের গাড়ি শিল্প। সম্প্রতি তাকে কিছুটা আশা জুগিয়েছে আনলক পর্বে বাইক বা স্কুটারের মতো দু’চাকার গাড়ি সম্পর্কে ক্রেতাদের খোঁজ নেওয়া। সংক্রমণ এড়ানো ও গণপরিবহণের অপ্রতুলতা যার কারণ। এ বার ছোট ও কম দামি গাড়ির খোঁজও আগের তুলনায় বাড়ছে বলে জানাচ্ছে শিল্প মহল। কারণ হিসেবে তারা তুলে ধরছে সেই করোনা সঙ্কটকেই।
ভারত বরাবরই কম দামি ও ছোট গাড়ির (হ্যাচব্যাক) বাজার বলে পরিচিত। কিন্তু গত ক’বছরে বদলেছে ছবিটা। প্রচুর বহুজাতিক গাড়ি সংস্থার ভিড় এবং তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত প্রথম গাড়ি কিনছেন যাঁরা তাঁদের বড় ও দামি গাড়ি কেনার ঝোঁক— এই দুইয়ের কারণে আকর্ষণ কমছিল অল্টো, রেডিগো, কুইডের মতো ছোট-কম দামি হ্যাচব্যাকের। চাহিদা বাড়ছিল দামি হ্যাচব্যাক, কমপ্যাক্ট এসইউভি ও সেডানের। বাজার দেখে ছোট গাড়ির জগতে একডাকে পরিচিত মারুতি-সুজুকির মতো সংস্থাও সে ধরনের গাড়ি আনার দিকে ঝোঁকে। ডিলারদের মতে, গত ক’দিনে সার্বিক ভাবে বিক্রি না-বাড়লেও, ফের সেই ছোট ও কম দামি গাড়ি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া বাড়ছে।
ডিলারদের সংগঠন ফাডার রাজ্যের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ ভাণ্ডারি মঙ্গলবার জানান, পাঁচ লক্ষ টাকার কম দামি গাড়ির খোঁজ করা মানুষের সংখ্যা করোনার আগের সময়ের চেয়ে প্রায় ২০% বেড়েছে। শুধু শহর নয়। কৃষি ভিত্তিক এলাকাতেও এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাঁর দাবি, এমন গাড়ির বিক্রি বাজারের প্রায় ৩০ শতাংশে নেমেছিল। এখন ফের তা বাড়বে বলেই আশা।
নিসান ইন্ডিয়ার এমডি রাকেশ শ্রীবাস্তবও এ দিন জানান, গাড়ি কেনার খরচের বিষয়ে বরাবরই সতর্ক ভারতীয় ক্রেতা। তাই অতিমারির সময়ে প্রাধান্য পাচ্ছে সাধ্যের মধ্যে থাকা হ্যাচব্যাক। ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াতের লক্ষ্যে প্রথম গাড়ি কিনতে আগ্রহী ক্রেতা ও তাঁদের হাত ধরে কম দামি হ্যাচব্যাক গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে মারুতিও।
এই পরিস্থিতিতে সেই ছোট গাড়ির বাজার ধরতে নানা আর্থিক সুবিধা দিয়ে প্রতিযোগিতায় ঝাঁপাচ্ছে সংস্থাগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy