প্রতীকী ছবি।
প্রতি মাসে বিভিন্ন ক্ষেত্রের যে সমস্ত সূচকের গতিপ্রকৃতি দিয়ে অর্থনীতির অবস্থা বিচার করা হয়, তার ১৫টির মধ্যে ১৪টিই এপ্রিলে (২০২০ সালের এপ্রিলের তুলনায়) চোখে পড়ার মতো বেড়েছে ভারতে। মার্চে যা দেখা যায়নি। কিন্তু সেই ‘স্বস্তির পরিসংখ্যান’ আদতে চরম বিভ্রান্তিমূলক, দাবি মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার। এর মধ্যে আছে গাড়ি উৎপাদন এবং রেজিস্ট্রেশন, জিএসটি ই-ওয়ে বিল, তেল বাদে অন্যান্য পণ্য রফতানি ইত্যাদি। গত মার্চের ৫.৫২% থেকে এপ্রিলে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪.২৯ শতাংশে নামার পরে হুবহু একই যুক্তিতে সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার রিপোর্ট।
বুধবার ইক্রার দাবি, বেশিরভাগ সূচকই এই এপ্রিলে বেড়েছে গত বছর এপ্রিলের নীচু ভিতের উপর দাঁড়িয়ে। কারণ সে বার লকডাউন ছিল। ফলে তখনকার তুলনায় অনেক পরিসংখ্যান বিরাট লাগছে, যা অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। বরং সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের তলানিতে নেমেছে ক্রেতার আস্থা। শ্লথ হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৃদ্ধির গতি। যে কারণে সূচকগুলিকে ২০১৯-এর এপ্রিলের সঙ্গে তুলনা করেছে ইক্রা।
সংস্থার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের বক্তব্য, ‘‘এপ্রিলের তথ্য দেখে যে আশার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তা সীমিত। আসলে ১৩টির মধ্যে আটটি ক্ষেত্রের সূচকই ২০১৯-এর এপ্রিলের তুলনায় শ্লথ হয়েছে এ বার। যেমন, জিএসটি ই-ওয়ে বিল, বিদ্যুৎ উৎপাদন, গাড়ির নথিভুক্তিকরণ, রেলে পণ্য পরিবহণ। কারণ কোভিড যুঝতে রাজ্য রাজ্যে বিধিনিষেধ, লকডাউন।’’
সেই সঙ্গে ইক্রার রিপোর্টে জারি হয়েছে সতর্কবার্তা, পেট্রল-ডিজেল ও চিকিৎসা খাতে বাড়তে থাকা খরচ এবং ফের ক্রেতার তলানিতে ঠেকা আস্থা অত্যাবশ্যক পণ্যে খরচ এত বাড়াচ্ছে যে, জরুরি নয় এমন পণ্য কিনছেন না কেউ। আশঙ্কা, সংক্রমণের ভয়ে স্পর্শ-ভিত্তিক পরিষেবার খরচ আরও কমাবেন ক্রেতারা। ফলে অর্থনীতি ধাক্কা খাবে। সম্প্রতি স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্টও একই হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy