—প্রতীকী ছবি।
এক দিকে রিলায়্যান্স জিয়ো ও ভোডাফোন আইডিয়া। অন্য দিকে এয়ারটেল, টাটা, ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক ও অ্যামাজ়নের শাখা কুইপারের মতো সংস্থা। ভারতে স্যাটালাইট স্পেকট্রাম বণ্টন নিয়ে এ ভাবেই জমে উঠছে লড়াই।
কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা আনতে আগ্রহী কেন্দ্র। এর হাত ধরে যে সমস্ত জায়গায় প্রথাগত নেট পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয় না, সেখানেও তা পৌঁছনো যাবে। উদ্যোগে শামিল হতে আগ্রহী দেশি-বিদেশি টেলিকম ও স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড সংস্থা। এই ক্ষেত্রেই কী ভাবে স্পেকট্রাম বণ্টন হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মত চেয়েছিল নিয়ন্ত্রক ট্রাই।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সাধারণত দু’ভাবে এই বণ্টন হতে পারে। প্রথমত, সাধারণ স্পেকট্রামের মতো নিলামের হাত ধরে। দ্বিতীয়ত, সংস্থাগুলিকে তা বরাদ্দের মাধ্যমে। ৬৪টি মতামতের মধ্যে ৪৮টিতেই সংস্থাগুলি স্পেকট্রাম বরাদ্দের পক্ষে সওয়াল করেছে। জিয়ো, ভোডাফোনের মতো ১২টি পক্ষ চেয়েছে তা নিলাম করা হোক। বাকিরা কোনও পক্ষ নেয়নি।
বর্তমানে স্পেকট্রাম বরাদ্দের ভিত্তিতে ভারতী এয়ারটেল, স্টারলিঙ্কের মতো সংস্থা অল্প হলেও এই পরিষেবা দেয়। তাদের একাংশের মতে, এ ক্ষেত্রে নিলাম হলে একটি সংস্থা অন্যকে স্পেকট্রাম ব্যবহার করতে দিতে না-ও পারে। সে ক্ষেত্রে পরিষেবা ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তাই তা বরাদ্দ করা হোক। তবে মুকেশ অম্বানীর জিয়ো (তারাও কিছু ক্ষেত্রে এই পরিষেবা দেয়) এবং ভোডাফোনের মতো সংস্থার দাবি, স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম হাতে পাওয়া সংস্থাগুলিও সাধারণ টেলি সংস্থার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই গ্রাহককে নেট পরিষেবা দেবে। ফলে সকলের জন্য প্রতিযোগিতার সমান মাঠ তৈরি করতেস্পেকট্রাম নিলাম করা হোক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে ৫জি প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথাগত স্পেকট্রামের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আমেরিকার প্রতি জিবিতে ৬ ডলার বা চিনের ০.৪ ডলারের চেয়ে ভারতে নেট পরিষেবার খরচ এতটাই কম (প্রতি জিবি-তে ০.১৭ ডলার) যে, তা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে সুষ্ঠু পরিষেবার ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে। আর তাই প্রতিযোগিতার বাজারে নিলাম বা বরাদ্দ— যে সিদ্ধান্তই কেন্দ্র নিক না কেন, তা হবে ডিজিটাল বিপ্লবের গুরুত্বপূর্ণ এক মোড়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy