কিছু দিনের মধ্যে শুরু হবে আয়কর রিটার্ন (ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন বা আইটিআর) জমার কাজ। বর্তমানে দেশে দু’টি করকাঠামো চালু রয়েছে, পুরনো এবং নতুন। আইটি রিটার্ন জমার সময়ে এর মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নেবেন করদাতা। কিন্তু প্রশ্ন হল, এক বার একটি করব্যবস্থা পছন্দ করলে কি পরবর্তী সময়ে অপর করকাঠামোয় যেতে পারবেন তিনি? এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
করদাতাদের মূলত দু’টি শ্রেণিতে ভাগ করে থাকে আয়কর দফতর। সেগুলি হল, বেতন ও পেনশনভোগী এবং ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি। সংশ্লিষ্ট করদাতা করকাঠামো বদল করতে পারবেন কি না, তা তিনি কোন শ্রেণিভুক্ত তার উপর নির্ভর করবে।
বেতন ও পেনশনভোগীরা আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়ে করকাঠামো পরিবর্তন করতে পারবেন। বেতনপ্রাপ্তদের অনেক সময়ে ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স বা টিডিএসের জন্য নিয়োগ সংস্থাকে করকাঠামোর কথা আগাম জানিয়ে রাখতে হয়। কিন্তু, তা সত্ত্বেও রিটার্ন জমা করার সময়ে নিজের ইচ্ছামতো করকাঠামো বেছে নিতে পারবেন তিনি।
উদাহরণ হিসাবে, ধরা যাক কোনও ব্যক্তি টিডিএসের হিসাবের সময়ে নিয়োগকারী সংস্থাকে নতুন করকাঠামো বেছে নিচ্ছেন বলে জানালেন। কিন্তু, পরে হিসাব কষে দেখলেন পুরনো করকাঠামোতে থাকলেই আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন তিনি। এ ক্ষেত্রে রিটার্ন জমা করার সময়ে পুরনো করকাঠামো বেছে নিতে পারবেন তিনি।
ব্যবসায়ী এবং পেশাদার আয়কর দাতাদের ক্ষেত্রে নিয়ম সম্পূর্ণ আলাদা। সারা জীবনে মাত্র এক বার করকাঠামো বদল করার সুযোগ পাবেন তাঁরা। আয়কর আইনের ১১৫বিএসসি অনুযায়ী তাঁদের এই সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্র।
ব্যবসায়ী করদাতারা নতুন কাঠামো বেছে নিলে আইটিআর দাখিল করার সময়ে বাধ্যতামূলক ভাবে ১০-আইইএ পূরণ করতে হবে। ২০২৪-’২৫ মূল্যায়ন বছর থেকে এটি শুরু করতে হবে তাঁদের। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে এই ফর্মপূরণের কোনও প্রয়োজন নেই।