টাটাদের দাবি, অদূর ভবিষ্যতেই ভারতে এই বাজার উল্লেখযোগ্য জায়গায় পৌঁছবে। প্রতীকী ছবি
সস্তার গাড়ি তৈরির কারখানার সঙ্গে প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ির আঁতুরঘর করা হয়েছিল আগেই। গুজরাতের সানন্দে সেই কারখানাতেই এ বার আরও একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করতে নামল টাটা মোটরস। পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর থেকে ‘বিতাড়িত’ হওয়ার দাবি করে এক সময় যেখানে কম দামের ন্যানো গড়ার কথা জানিয়েছিলেন রতন টাটা। বাজার হারিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ন্যানো। এখন তার ঠিকানায় বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রকল্পে জোর দেওয়ার বার্তা দিয়ে টাটাদের দাবি, অদূর ভবিষ্যতেই ভারতে এই বাজার উল্লেখযোগ্য জায়গায় পৌঁছবে। কম দামি গাড়ির পরিসরে প্রথম বৈদ্যুতিক আনছে তারাই।
গোটা বিশ্বের মতো ভারতেও পরিবেশ বান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে সেগুলির অত্যধিক দাম এবং চার্জ দেওয়ার অপ্রতুল পরিকাঠামোর দরুন বিক্রি নিয়ে সংশয় রয়েছে। গাড়ি সংস্থাগুলির মতে, সচেতনতার অভাবই সংশয় তৈরি করছে, যা যুক্তিহীন। বরং বাজার ধরতে কম দামি বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতেই ঝাঁপাচ্ছে টাটা মোটরস-সহ বিভিন্ন সংস্থা।
সানন্দে প্রথাগত জ্বালানির টিয়াগো ও টিগর গাড়িও তৈরি করে টাটা। অতিমারির আগে প্রথম বৈদ্যুতিক টিগরও সেই সঙ্গে তৈরি শুরু হয় সেখানে। মহারাষ্ট্রের রঞ্জনগাঁওতে আর একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি নেক্সন। বুধবার বৈদ্যুতিক টিয়াগো বাজারে আনার অনুষ্ঠানের পরে টাটা প্যাসেঞ্জার ইলেকট্রিক মোবিলিটির বিপণন ও পরিষেবার প্রধান বিবেক শ্রীবৎস জানান, এটিও সানন্দেই হচ্ছে। যেটি কম দামি গাড়ির বাজারে প্রথম বিদ্যুৎ চালিত।
শ্রীবৎস বলেন, পেট্রল-ডিজ়েল ইঞ্জিনের গাড়ি মাসে ১০০০ কিলোমিটার চললে খরচ হয় প্রায় ৭৫০০ টাকা। কিন্তু বৈদ্যুতিকে তা ১১০০ টাকার মতো। চার্জিং স্টেশন নিয়ে তাঁর বার্তা, সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে সেই পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে। টাটারাই ৩০০০-এর বেশি স্টেশন গড়ছে। তা ছাড়া, ৯৭% গাড়িই বাড়িতে চার্জ দিয়ে ব্যবহার করা যায়। অল্প কয়েকটিকে এক শহর থেকে আর একটিতে যেতে হয়। এ জন্যও উপযুক্ত ব্যবস্থা হচ্ছে। টাটারা জানিয়েছে, আগামী চার বছরে আরও ছ’টি বৈদ্যুতিক গাড়ি আনবে সংস্থা।
টাটা মোটরসের দাবি, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট গাড়ি বাজারের ৩০% বৈদ্যুতিকে পরিণত করার যে লক্ষ্য রেখেছে কেন্দ্র, তা পূরণ হওয়া সম্ভব। এগুলি ব্যবহারের যৌক্তিকতা এবং সুবিধা নিয়ে ক্রেতাদের সচেতনতা বাড়ছে। সেই সূত্রে এখন তাদের মোট গাড়ি ব্যবসার ৯% বৈদ্যুতিক হলেও, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% ছাড়াবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy