দেউলিয়া বিধির দৌলতে অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যাকে দ্রুত কব্জা করার দাবি হামেশাই করে কেন্দ্র। কিন্তু ২০১৬-১৭ সালের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষেও তা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। সেই ছবি ফুটে উঠেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যানেই।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের মতে, অনাদায়ি ঋণ চিহ্নিত করা এবং ঘোষণায় কড়াকড়ির কারণেই মূলত বেড়েছে অনুৎপাদক সম্পদের অঙ্ক। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এই সমস্যা যে এখনও প্রবল, তা মেনেছে তারা। ফের স্পষ্ট করেছে যে, বিপুল অঙ্কের অনাদায়ি ঋণ, তার জন্য পর্যাপ্ত টাকা সংস্থান করে রাখার বিষয়ে অনীহা, ঋণের অনুপাতে তুলে রাখতে হওয়া মূলধনের নিয়মে সামান্যতম শিথিলতাও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে দেশের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে। তাই বাসেল বিধি মেনে ব্যাঙ্কগুলিকে মূলধন জোগানোয় গড়িমসির ফল মারাত্মক হতে পারে বলে সাবধান করেছে তারা। যে কথা কেন্দ্রকে আগেও বলেছে তারা।
তবে অর্থ মন্ত্রকের এক কর্তার দাবি, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে কমেছে অনুৎপাদক সম্পদ। ২০১৮ সালের মার্চের ৯.৬২ লক্ষ কোটি টাকার চূ়ড়া থেকে তা কমেছে ২৩ হাজার কোটি। ওই সময়ে উদ্ধার হয়েছে ৬০,৭২৬ কোটি টাকার ধারও। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কেন্দ্র যা-ই দাবি করুক, অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যার সমূল বিনাশে দিল্লি এখনও দূর অস্ত্।
কমেছে এটিএম। ২০১৬-১৭ সালের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশে এটিএমের সংখ্যা ১,০০০টি কমেছে। কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কিছু শাখা বন্ধ করাই এর মূল কারণ।
নজরে অফিসার। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফাঁক থাকায় পরে তা শোধ না হওয়ার কারণে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ৬ হাজারের বেশি অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তবে সরকার শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাজে সন্তুষ্ট বলে সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy