Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Telecom

বকেয়া মেটাতে টেলিকম সংস্থাগুলিকে ১০ বছর সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট

বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে টেলি-সংস্থাগুলিকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ব্যক্তিগত গ্যারেন্টি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ টেলিকম সংস্থাগুলিকে— ফাইল চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ টেলিকম সংস্থাগুলিকে— ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:০৫
Share: Save:

সময়সীমা এক দশক। তার মধ্যে সরকারের নির্ধারিত পাওনা টাকা না মেটালে অভিযুক্ত টেলিকম সংস্থাগুলিকে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত করা হবে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এই রায় ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ আজ নির্দেশ দিয়েছে, ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টেলিকম সংস্থাগুলিকে বকেয়া টাকার অন্তত ৩০ শতাংশ শোধ করতে হবে।

শীর্ষ আদালত আজ টেলিকম কোম্পানিগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, প্রতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত পাওনার (অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ) বার্ষিক অংশ মেটাতে হবে। তা না হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের গত বছরের নির্দেশ মেনে বকেয়া না মেটানোর টেলি-সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আদালত অবমাননার একটি মামলা এদিন বিচারপতি মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ খারিজ করেছে। পাশাপাশি, বকেয়া পরিশোধের জন্য টেলি-সংস্থাগুলিকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ব্যক্তিগত গ্যারেন্টি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

স্পেকট্রাম এবং লাইসেন্স বাবদ ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনস (ডিওটি)-এর ৫০ হাজার কোটি টাকা প্রাপ্য টেলিকম কোম্পানি ভোডাফোনের কাছে। ভারতী এয়ারটেলের বকেয়া রয়েছে ৩৫ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া এমটিএনএল, বিএসএনএল, রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস, টাটা কমিউনিকেশনসের মতো সরকারি-বেসরকারি টেলি-সংস্থার বকেয়া রয়েছে সরকারের কাছে। শুনানি-পর্বে ভোডাফোন-আইডিয়া বকেয়া মেটানোর জন্য ১৫ বছর সময় চেয়েছিল। টাটা কমিউনিকেশনস চেয়েছিল ৭ বছর।

গত বছরের ২৪ অক্টোবরে টেলিকম সংস্থাগুলিকে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এর পরে ডিওটি-র তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে টেলি-সংস্থাগুলিতে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কার্যত শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশ না মানলেও টেলিকম সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা ছিল না। ডিওটি-র নির্দেশে বলা হয়েছিল, আপাতত অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ (এজিআর) মেটানোর প্রয়োজন নেই। সেই নির্দেশ কার্যত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশের নামান্তর হয়ে দাঁড়ায়।

আরও পড়ুন: কীর্ণাহার থেকে রাইসিনা: চাণক্যের চড়াই-উৎ‌রাই যাত্রাপথ

গত জানুয়ারিতে ওই মামলার শুনানিতে ডিওটি-র নির্দেশিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র ও টেলিকম সংস্থাগুলিকে তুলোধনা করে ডিওটি-র যে আধিকারিক ওই নির্দেশিকা জারি করেছিলেন, তাঁকে অবিলম্বে নির্দেশিকা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি মিশ্রের বেঞ্চ। কেন্দ্রের আইনজীবী, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা এজিআর মেটানোর জন্য ২০ বছরের সময়সীমা দেওয়ার পক্ষে মতপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বকেয়া সংক্রান্ত পুনর্মূল্যায়নের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিল। শুনানি-পর্বের শেষে গত ২০ জুলাই রায় ঘোষণা ‘স্থগিত’ রেখেছিল শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: সংগ্রহ করতেন নিজের কার্টুন, রাষ্ট্রপতি ভবনে সে সবের প্রদর্শনীও করেন প্রণব​

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy