প্রতীকী ছবি
তেল আমদানির খরচ বাঁচাতে পেট্রলে ইথানল মেশানোয় গতি আনতে চাইছে মোদী সরকার। যার বিরূপ প্রভাব অন্যান্য শিল্পের উপরে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। সোমবার খোদ এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তার কথায়, ইথানল তৈরির জন্য আরও বেশি আখ বরাদ্দ হওয়ার কারণে অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলা মরসুমে কিছুটা কমতে পারে চিনি উৎপাদন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এতে তার দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকছে। তেমনই শিল্পমহলের মতে, এই সিদ্ধান্তের জেরে দাম বাড়তে পারে এক্সট্রা নিউট্রাল অ্যালকোহলের (ইএনএ)। যা মদ এবং বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী তৈরির অন্যতম উপাদান।
দেশে ২০১৪ সালে পেট্রলে ১%-১.৫% ইথানল মেশানো হত। এখন তা দাঁড়িয়েছে ৮.৫ শতাংশে। এ বার ২০২২ সালের মধ্যে সেটাই ১০% এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ২০% করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র। সরকারি কর্তার দাবি, সে কথা মাথায় রেখে বর্তমান মরসুমে প্রায় ২০ লক্ষ টন চিনি তৈরিতে বরাদ্দ আখকে ইথানল উৎপাদনের কাজে লাগানো হয়েছে। পরের বছর যা পৌঁছতে পারে ৩৫ লক্ষ টনে। তাঁর আশঙ্কা, সে ক্ষেত্রে চিনি উৎপাদন সামান্য কমে দাঁড়াতে পারে ৩.০৫ কোটি টনে। ২০২০-২১ মরসুমে (অক্টোবর থেকে সেপ্টেম্বর) যা ছিল ৩.১ কোটি টন।
আবার আগামী বছরে মরসুমের শুরুতে ৯০-৯৫ লক্ষ টন চিনির মজুত ভান্ডার থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে নতুন উৎপাদনের পরে সব মিলিয়ে থাকবে মোট ৩.৯-৪ কোটি টন চিনি। সে সময়ে দেশে সম্ভাব্য চাহিদা বেড়ে দাঁড়ানোর কথা প্রায় ২.৬৩-২.৬৫ কোটি টনে। রফতানি হতে পারে ৭০ লক্ষ টন। অর্থাৎ, পরের মরসুমের শেষে সেই মজুত ভান্ডারও ৬০-৬৫ লক্ষ টনে নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত ওই কর্তার।
এ দিকে, চিনি তৈরির সময়ে যেমন ইথানল উৎপাদন হয়, তেমনই সে সময়ে তৈরি হয় এক্সট্রা নিউট্রাল অ্যালকোহলও। হুইস্কি, ভদ্কা, জিনের মতো পানীয় থেকে শুরু করে সুগন্ধী, চুলের স্প্রে-র মতো প্রসাধনী সামগ্রী তৈরিতে সেই ইএনএ ব্যবহার করা হয়। সেই কারণে তেলে মেশানোর জন্য বেশি ইথানল সরবরাহ হওয়ায় মদ ও প্রসাধনী শিল্পেও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছে শিল্প মহলের একাংশ।
সোমবার বার্ষিক রিপোর্টে দেশের বৃহত্তম বিদেশি মদ (ইন্ডিয়ান মেড ফরেন লিকার) প্রস্তুতকারক র্যাডিকো খেতান জানিয়েছে, বর্তমান মরসুমে প্রায় ৩২৫ কোটি লিটার ইথানল তেল সংস্থাগুলিকে সরবরাহ করা হতে পারে। যার হাত ধরে পেট্রলে ইথানল মেশানোর মাত্রা পৌঁছবে ৮.৫ শতাংশে। পরের বছর ১০ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে সেই সরবরাহই বেড়ে ৪০০ কোটিতে দাঁড়াতে পারে। যার ফলে দাম বাড়তে পারে ইএনএ-র। তবে এখনই এর জন্য পণ্যের দাম বাড়বে না বলেই দাবি তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy