ফাইল চিত্র।
উন্নত মানের পরীক্ষিত বীজ ব্যবহারের পাশাপাশি, কম খরচে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পাট চাষ বাড়াতে চাইছে রাজ্য। এর উপায় খুঁজতে চলতি মাসেই জাতীয় পাট পর্ষদ, পাট নিগমের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা ও সরকারি গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কৃষি দফতরের কর্তারা। সেখানে জাতীয় বীজ নিগমের শীর্ষ কর্তাদেরও থাকার কথা। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জুট কমিশনারকেও।
পাট শিল্প মহল সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে রাজ্যে পাট চাষের জমি প্রায় ২ লক্ষ হেক্টর কমেছে। অথচ দেশের মোট পাট উৎপাদনের বড় অংশই আসে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলি থেকে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, বছর খানেক আগেও যেখানে রাজ্যে ৭ লক্ষ হেক্টরের মতো জমিতে পাট চাষ হতো, এখন তা ৫ লক্ষ হেক্টর। আশঙ্কা, ভবিষ্যতে জমি আরও কমতে পারে। জলের অভাব, চাষের খরচ বাড়া ও পাটের ঠিক মতো দাম না-পাওয়া এর অন্যতম কারণ। আবার বাজারে সরকারি ভাবে পরীক্ষিত উন্নত মানের বীজ পাওয়া যায় না বলেও চাষিরা প্রায়ই অভিযোগ করেন। ফলে অনেক
মরসুমে হেক্টর পিছু প্রত্যাশা মতো ফলন
হয় না। এই সব সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে চায় কৃষি দফতর। আলোচনার পাশাপাশি হবে কর্মশালাও।
সূত্রের আরও বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে বছরে প্রায় ৩৫০০ টন পাটের বীজ প্রয়োজন হয়। তা সাধারণত খোলা বাজার থেকেই কিনতে হয় চাষিদের। আবার অনেক ক্ষেত্রেই বাজারে নিম্নমানের বীজও বিক্রি হয় বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ। শিল্প মহলের বক্তব্য, খোলা বাজারে ভাল মানের বীজের অভাবেই পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বছর উৎপাদন বেশ কিছুটা মার খায়। পাটের মানও বিশেষ ভাল হয় না।
তবে সাম্প্রতিক কালে পরীক্ষিত বীজ ব্যবহার করে রাজ্যের কয়েকটি অঞ্চলে হেক্টর পিছু পাটের উৎপাদন ২০-২৩ কুইন্টাল থেকে বেড়ে ৩০-৩২ কুইন্টাল হয়েছে। উজ্জ্বল হচ্ছে পাটের মান এবং রংও। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে রাজ্যে ১২০০ টনের মতো পরীক্ষিত বীজ বিক্রি হয়েছিল। তার জোগান এ বার আরও বাড়াতে চাইছে রাজ্য। সেই সঙ্গে খুঁজতে চাইছে উৎপাদন বাড়ানোর অন্যান্য উপায়ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy