প্রতীকী ছবি।
সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ও বিভিন্ন আর্থিক পরিষেবা পেতে অনেক সময়েই আধার নম্বর লাগে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছিল, আধারে নাম নথিভুক্তি কিংবা পুরনো কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে বিভিন্ন আধার কেন্দ্রে বেআইনি ভাবে অনেক টাকা চাওয়া হচ্ছে। পরিষেবার প্রয়োজনে দিতে বাধ্য হচ্ছেন বহু মানুষ। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, বিক্ষিপ্ত ভাবে কোথাও কোথাও স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও বেআইনি টাকা আদায় বন্ধ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে এ বার নড়েচড়ে বসল নবান্ন। কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার কমিশনার এবং সমস্ত জেলাশাসককে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের নির্দেশ, এমন অভিযোগ পেলেই অবিলম্বে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্বরাষ্ট্র দফতরের দাবি, এই অনৈতিক আচরণের জন্য মানুষ যেমন তাঁর অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনই তা গুরুতর আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা তৈরি করছে। তাই বেআইনি ভাবে টাকা চাওয়ার অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আধার সংক্রান্ত পরিষেবার কোন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ (ইউআইডিএআই) কত খরচ বেঁধেছে, সেই তালিকাও নির্দেশের সঙ্গে জুড়েছে তারা। রাঁচিতে ইউআইডিএআইয়ের দফতরের পাশাপাশি আধার পরিষেবা সংস্থা ও কেন্দ্রগুলিকে নির্দেশের
কপি পাঠিয়েছে।
আধার কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুসারে, ডেমোগ্রাফিক (নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদি) তথ্য সংশোধনের জন্য দিতে হয় ৫০ টাকা। বায়োমেট্রিক (ছবি, আঙুল ও চোখের মণির ছাপ) তথ্য সংশোধনের জন্য ১০০ টাকা। নিখরচায় ওয়েবসাইট থেকে ই-আধার ডাউনলোড করা যায়। তবে ডাউনলোডের পরে এ৪ কাগজে রঙিন প্রিন্ট নিলে লাগে ৩০ টাকা। আর ইউআইডিএআইয়ের ওয়েবসাইটে বাড়তি সুরক্ষাকবচ-সহ নতুন পিভিসি আধার কার্ডের আবেদন জানালে খরচ ৫০ টাকা। সবই জিএসটি ধরে।
সূত্রের দাবি, লকডাউনে সব বন্ধ থাকায় অনেকেরই আধারে নাম নথিবদ্ধ করা বা তথ্য সংশোধনের কাজ বাকি পড়েছে। পরে আধার কেন্দ্রগুলি ধাপে ধাপে খুললেও এখনও তার সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম। অভিযোগ, সেই সুযোগেই কোথাও নিখরচার পরিষেবা দিতে টাকা চাওয়া হচ্ছে। কোথাও তথ্য সংশোধনের জন্য বহু গুণ বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। অনেক জায়গায় শিবিরের নাম করে আগাম প্রচার চালানো হচ্ছে। নির্দিষ্ট দিনে সেখানে গিয়ে সকলে জানতে পারছেন, পরিষেবা পেতে কয়েক’শ টাকা বেশি লাগবে। বলাই বাহুল্য, সেই বাড়তি অর্থের রসিদ মিলছে না। অথচ স্বীকৃত আধার কেন্দ্রে যে সব পরিষেবায় ইউআইডিএআই খরচ বেঁধে দিয়েছে, সেগুলির জন্য রসিদ মেলে।
তবে সরকারি সূত্রের দাবি, কেন্দ্রের সংখ্যা ধাপে ধাপে বাড়ছে। ইউআইডিএআইয়েরও দাবি, রাজ্যের পাঁচটি আধার সেবা কেন্দ্রে দৈনিক অনেক বেশি মানুষের নথিভুক্তি বা সংশোধনের সুবিধা রয়েছে। অনেক সময়ই তার তুলনায় কম মানুষ আসছেন। আগ্রহীদের কেন্দ্রগুলিতে যোগাযোগের আর্জি জানিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy