প্রতীকী ছবি।
গত আর্থিক বছরে সব মিলিয়ে ব্যবসা হয়েছিল ১৮ কোটি টাকার। আর চলতি অর্থবর্ষে প্রথম ছ’মাসেই এসেছে ১৯ কোটি। আশা, বছর শেষে ওই অঙ্ক পেরোবে ৪০ কোটি।
ব্যবসার কৌশল বদলে এ ভাবেই সাফল্যের মুখ দেখছে রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর।
রাজ্য সরকারের এই দফতরের অধীনে প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন নিগম। নিগমের আওতায় হরিণঘাটা মিট। যারা এত দিন শুধু হাঁস, মুরগি, কোয়েল, টার্কি, ভেড়া, খাসি, শুয়োরের মাংসের খুচরো বিক্রিতে চোখ রেখে এগোচ্ছিল। কিন্তু বেমালুম বদলে গিয়েছে ছবিটা। চলতি আর্থিক বছরের শুরুতেই নিগম আইআরসিটিসি, মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি-সহ বেশ কয়েকটি বড় মাপের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাংস সরবরাহের চুক্তি করেছে। শিল্পের ভাষায় যা ‘বি-টু-বি’ মডেল। অর্থাৎ দুই বা তার বেশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য বা পরিষেবা সরবরাহের ব্যবসা। আর এর হাত ধরেই গত ছ’মাসে মাংসের বরাত বাড়তে শুরু করেছে হরিণঘাটা মিটের। ফলে এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে ব্যবসার অঙ্ক।
এই অবস্থায় নদিয়ায় হরিণঘাটা মিটের মাংস উৎপাদন আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে নিগম। হরিণঘাটায় এখন সব ধরনের মাংস মিলিয়ে দৈনিক উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৩ টন। রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, ‘‘খুচরো বিক্রি বাড়লেও, ব্যবসা বাড়াতে নতুন বাজারের খোঁজ শুরু হয়েছিল। তার পরেই বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে হরিণঘাটার মাংস বিক্রি বাড়ানোর নতুন কৌশল নেওয়া হয়। ফল মিলেছে হাতেনাতে। তাই উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।’’
নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরীশঙ্কর কোনারের দাবি, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে প্রথম একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। আর ওই বছরই তার আগের বছরের তুলনায় ব্যবসা এক লাফে বেড়ে গিয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই এ বছর বেশ কয়েকটি বড় সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। দ্বিগুণেরও বেশি হারে বাড়তে শুরু করেছে ব্যবসা।
উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ সালে নিগমের মোট ব্যবসা হয়েছিল ৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ সালে তা বেড়ে পৌঁছয় ১৮ কোটিতে। নিগমের লক্ষ্য, খুব দ্রুত ৫০ কোটি টাকা ছুঁয়ে ফেলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy