ফাইল চিত্র।
বেআইনি মজুতদারির ফলে কাঁচা পাটের দাম যাতে আকাশছোঁয়া না-হয়, সেই উদ্দেশ্যে সম্প্রতি ওই পণ্যের দামের ঊর্ধ্বসীমা কুইন্টাল প্রতি ৬৫০০ টাকায় বেঁধে দিয়েছে জুট কর্পোরেশন (জেসিআই)। কিন্তু চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র বক্তব্য, দাম বেঁধে দিয়ে সমস্যা মিটবে না। বরং এতে উল্টে পাট চাষিরা উৎসাহ হারাতে পারেন। তাতে উৎপাদন কমলে সমস্যা আরও বাড়বে। আইজেএমএ-র চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্তের মতে, ওই দাম ছেড়ে দেওয়া হোক বাজারের হাতে। আর চাষিদের থেকে কাঁচা পাট কিনে চটকলগুলিকে বিক্রির ব্যবস্থা করুক জুট কর্পোরেশন নিজে। যাতে বস্তা তৈরির ওই কাঁচামালের জোগান ঠিক থাকে। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে সংগঠনটির আর্জি, বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুন তিনি। কথা বলুন কেন্দ্রের সঙ্গে।
চট শিল্পের একাংশের বক্তব্য অবশ্য অন্য রকম। এই অংশের মতে, ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে না-দিলে কাঁচা পাটের মজুতদারি আরও বাড়তে পারে। আইজেএমএ-র পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। এই প্রসঙ্গে জুট কর্পোরেশনের এক কর্তার বক্তব্য, ঊর্ধ্বসীমা ঠিক করা হয়েছে চাষিদের স্বার্থের কথা ভেবেই। কমিটি ফর এগ্রিকালচারাল কস্ট অ্যান্ড প্রাইসেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১-২২ পাটবর্ষে (জুলাই-জুন) কাঁচা পাটের উৎপাদন খরচ পড়বে কুইন্টাল প্রতি ২৮৩২ টাকা। আর ন্যূনতম দাম ধার্য হয়েছে ৪৫০০ টাকা। ঊর্ধ্বসীমা ৬৫০০ টাকা। এতে চাষিদের মুনাফা কম হওয়ার কথা নয়। শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি অনুমোদিত ফেডেরাল চটকল মজদুর ইউনিয়নের নেতা দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘গত বছর ফলন ভাল না-হওয়ায় চাষিরা মার খেয়েছেন। এ বছর ভাল ফলন হয়েছে। ৬৫০০ টাকা দাম পেলে চাষিরা উপকৃতই হবেন।’’
আমপান এবং করোনা জোড়া ধাক্কা দিয়েছিল পাট চাষে। গত বছর উৎপাদন ভাল হলেও চটকল মালিকদের বক্তব্য, বেআইনি মজুতদারি বৃদ্ধি পওয়ায় বস্তা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ওই কাঁচামালের দাম আকাশছোঁয়া হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতেই দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে জুট কর্পোরেশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy