এটি সপ্তম সিরিজের সভেরেইন গোল্ড বন্ড। ফাইল চিত্র
দীপাবলি ও ধনতেরসের আগে সপ্তম দফার সভেরেইন গোল্ড বন্ড বা স্বর্ণ ঋণপত্র বিক্রি শুরু হচ্ছে ২৫ অক্টোবর, সোমবার থেকে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, এই দফায় বন্ড পাওয়া যাবে ২৫ থেকে ২৯ অক্টোবর। চলতি আর্থিক বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত মোট চার দফায় সোভারিন গোল্ড বন্ড বিক্রি হবে। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষে এর আগে আরও ছ’দফায় বন্ড বিক্রি করেছে কেন্দ্র।
ভারতে ইতিমধ্যেই সোনা কেনার এই পদ্ধতি সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ, ধাতব সোনায় যা যা সুবিধা পাওয়া যায়, তার সবই মেলে কাগুজে সোনায়। কিছু ক্ষেত্রে নিশ্চিত রিটার্নের মতো বাড়তি সুবিধাও মেলে। তার পাশাপাশি মেলে সুরক্ষা। যাঁরা সোনা কিনতে চান অথচ ভাবেন গয়না কিনলে ন’মাসে-ছ’মাসে এক বার পরা ছাড়া বারই করা হবে না, উল্টে নিরাপদে রাখার সমস্যা, তাঁদের জন্যই এই কাগুজে সোনা। এই বন্ড বা ঋণপত্র কেনার মাধ্যমে ঘরে আসবে কাগুজে সোনা। ধরা যাক লগ্নির জন্য ২০ গ্রাম সোনা কিনতে চান কেউ। এ ক্ষেত্রে ওই ওজনের দাম দিয়েই বন্ড কেনা যাবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প শুধু ভারতীয় নাগরিক ও সংস্থার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই এই বন্ড চালুর সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৫ সালের বাজেট বক্তৃতায় সভেরেইন গোল্ড বন্ড বাজারে আনার কথা জানিয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রয়াত অরুণ জেটলি। সেই বছরের নভেম্বরে চালু হয় বন্ড। সরকারি এই প্রকল্পে সবচেয়ে কম ১ গ্রাম সোনা কিনতে হয়। বছরে ২.৫০ শতাংশ হারে নিশ্চিত সুদ পাওয়া যায়। বন্ড হয় আট বছরের জন্য। তবে পাঁচ বছর পরে গ্রাহকরা প্রয়োজন হলে তা বিক্রি করে টাকা নিয়ে নিতে পারেন। এই বন্ড কেনার ক্ষেত্রেও ডিজিটাল লেনদেনে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। জানানো হয়েছে সপ্তম সভেরেইন গোল্ড বন্ড ডিজিটাল মাধ্যমে কিনলে প্রতি গ্রাম সোনায় ৫০ টাকা করে ছাড় পাওয়া যাবে। এই বন্ড বিক্রি হয় ব্যাঙ্ক ও নির্দিষ্ট কিছু ডাকঘরে। এ ছাড়াও স্টক হোল্ডিং কর্পোরেশন, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ-সহ দেশের বড় এক্সচেঞ্জগুলির মাধ্যমেও তা কেনা যায়।
কোনও ব্যক্তি একটি অর্থবর্ষে সর্বোচ্চ ৪ কেজি সোনা কিনতে পারেন। অবিভক্ত হিন্দু পরিবারের ক্ষেত্রেও পরিমাণ এক। তবে কোনও ট্রাস্ট বা ওই ধরনের সংস্থা একটি আর্থিক বছরে সর্বোচ্চ ২০ কেজি সোনার বন্ড কিনতে পারে। আয়করের নিয়ম অনুযায়ী এই প্রকল্পে পাওয়া সুদে করছাড় নেই। তবে মেয়াদ শেষে বন্ড ভাঙানোর ক্ষেত্রে মূলধনী লাভকরে ছাড় রয়েছে। মেয়াদের আগে তা বিক্রি করলে দিতে হবে মূলধনী লাভকর। সোনা বন্ড গচ্ছিত রেখে নেওয়া যাবে ঋণও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy