নরেন্দ্র মোদী ও সনিয়া গাঁধী। —ফাইল চিত্র
প্রস্তাবিত আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (আরসিইপি) নিয়ে আগেই আপত্তি শুনিয়ে রেখেছে খোদ আরএসএস ঘনিষ্ঠ সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। সোমবার একই বিষয় নিয়ে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ২৫০টি কৃষক সংগঠনের মঞ্চ। এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বৈঠকে যোগ দিতে শনিবার তাইল্যান্ডে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যে আরসিইপির বৈঠক সোমবার। যেখানে ভারতের সিদ্ধান্তের উপরেই অনেকটা নির্ভর করছে আসিয়ান গোষ্ঠী-সহ ১৬টি দেশের ওই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে শুরু হল নতুন বাগ্যুদ্ধ।
এ দিন সাধারণ সম্পাদক এবং বিভিন্ন শাখা সংগঠনের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘দেশের অর্থনীতি থমকে। কিন্তু তার চেয়েও উদ্বেগের বিষয় হল, সরকার তা স্বীকারই করতে চাইছে না। সমাধানের বদলে প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত শিরোনাম তৈরি করতে।’’ আরসিইপি চুক্তি করলে কৃষক, দোকানদার, ছোট ব্যবসায়ীরা প্রবল সমস্যায় পড়বেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
রাতের দিকে পাল্টা আক্রমণে নামে বিজেপি। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বেশ কয়েকটি টুইটে মনে করিয়ে দেন, অতীতে ইউপিএ আমলেও বেশ কয়েকটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেছে সরকার। বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে আসিয়ান গোষ্ঠী, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সঙ্গে। তবে এ দিন ব্যাঙ্ককে উড়ে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, পণ্য ও পরিষেবা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বলেছেন, ‘‘আরসিইপির আলোচনা কোন পর্যায়ে রয়েছে তা আমরা দেখব। পণ্য ও পরিষেবার আমদানি-রফতানি এবং বিনিয়োগের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগ এবং স্বার্থের বিষয়গুলিও যাতে রক্ষা করা হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy