বেশিরভাগই ১০০-২০০ টাকা মেটাতে ২০০০-এর নোট দেওয়ায় বাকিটা ফেরত দিতে সমস্যায় পড়ছে পাম্পগুলি। ফাইল ছবি।
গত শুক্রবার রাত থেকেই কার্যত বিপাকে পড়েছে দেশের বহু পেট্রল পাম্প। খানিকটা হলেও ফিরেছে ২০১৬ সালে নোটবন্দির স্মৃতি।
সে বার ৮ নভেম্বর রাতারাতি পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল হয়েছিল। কিন্তু এ বার চার মাস ধরে বাজার থেকে তোলা হবে ২০০০-এর নোট। পাম্প মালিকদের সংগঠন এআইপিডিএ-র দাবি, তবু পাম্পে বহু ক্রেতা ২০০০ টাকা দিচ্ছেন। বেশি টাকার তেল কিনলে ততটা সমস্যা হয় না। কিন্তু বেশিরভাগই ১০০-২০০ টাকা মেটাতে ২০০০-এর নোট দেওয়ায় বাকিটা ফেরত দিতে সমস্যায় পড়ছে পাম্পগুলি। কমছে ডিজিটাল লেনদেনও। একাংশের আশঙ্কা, এত বড় নোট ব্যাঙ্কে জমা দিতে গেলে পাম্প মালিকদের না আয়কর দফতরের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়! যেমন নোটবন্দির সময় হয়েছিল। আরবিআইয়ের কাছে সংগঠনের আর্জি, ২০০০-এর বদলে পাম্পে যথেষ্ট পরিমাণে কম অঙ্কের নোট জোগাতে ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিক তারা।
অতীতে নোটবন্দির পরে বহু পাম্পেও নোট বদলানোর হিড়িক পড়েছিল। কম টাকার তেল কিনে বাতিল নোট ভাঙানোর জেরে সমস্যায় পড়ে তারা। এআইপিডিএ-র প্রেসিডেন্ট অজয় বনসাল এবং রাজ্যে ইন্ডিয়ান অয়েল ডিলার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট জন মুখোপাধ্যায়ের দাবি, সেই সমস্যাই ফের মাথা তুলেছে। এ রাজ্যেও ভুগছে বহু পাম্প। বিবৃতিতে অজয়ের দাবি, আগে পাম্পগুলিতে সাধারণত নগদ লেনদেনের ১০% হত ২০০০-এর নোটে। এখন তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৯০%। আর ডিজিটালে দাম মেটানোর হার ৪০% থেকে নেমেছে ১০ শতাংশে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কম অঙ্কের নোটের জোগানের পাশাপাশি ক্রেতাদের সহযোগিতা চেয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy