ফাইল চিত্র।
তিন মাস নয়। নয় ২০ বছরও।
টেলি সংস্থাগুলিকে স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি বাবদ বকেয়া মেটাতে ১০ বছর সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে অবশেষে যবনিকা পড়ল এই মামলায়।
সংস্থাগুলি কোন আয়ের ভিত্তিতে ওই সব ফি (এজিআর) দেবে, সেই বিতর্ক দীর্ঘদিনের। অক্টোবরে টেলিকম দফতরের (ডট) হিসেবকে মান্যতা দিয়ে তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মেটাতে তাদের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি আব্দুল নাজির ও বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ। তার পরেও সেই প্রক্রিয়া নিয়ে ডট ও টেলি-শিল্পের একাংশের মধ্যে টালবাহানা চলায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। জানিয়ে দেয়, বকেয়ার হিসেব নিয়ে আর কোনও মামলা হবে না। কিন্তু তার পরেও ডট ও সংস্থাগুলি বাড়তি সময় চেয়ে আর্জি জানানোয় এত দিন শুনানি চলছিল। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত জানাল, শর্ত সাপেক্ষে ও কিস্তিতে বকেয়া মেটানোর জন্য পরের অর্থবর্ষ থেকে ১০ বছর সময় পাবে সংস্থাগুলি। তবে কিস্তি মেটাতে ব্যর্থ হলে গুনতে হবে সুদ ও জরিমানা। এখন সংস্থাগুলির মোট বকেয়ার অঙ্ক ৯৩,৫২০ কোটি টাকা।
সুপ্রিম কোর্ট স্বস্তি দিয়েছে মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স জিয়ো ও এয়ারটেলকেও। যারা পরিষেবা দিতে অন্য সংস্থার স্পেকট্রামও ব্যবহার করে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যে সময়ের জন্য তারা অন্য সংস্থার স্পেকট্রাম ব্যবহার করেছে, তার বকেয়া মেটালেই চলবে। তার আগের বকেয়া মেটাতে হবে না।
বাড়তি সময় মিললেও সুবিধা কতটা হবে, তা নিয়ে মতপার্থক্য আছে সংশ্লিষ্ট মহলে। এয়ারটেল ও ভোডাফোন-আইডিয়ার বকেয়া যথাক্রমে ২৫,০০০ ও ৫০,০০০ কোটি টাকা। অনেকের মতে, সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে এয়ারটেল। অন্য অংশের ধারণা, বাড়তি সময় পাওয়ায় এখনই হয়তো প্রতিযোগিতা থেকে সরবে না ভোডাফোন। তবে আর্জির তুলনায় কম সময় মেলায় মাসুল বাড়াতে হতে পারে সংস্থাগুলিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy