প্রতীকী ছবি।
এ মাসের শুরুতে সমুদ্রপথে সরবরাহ রাশিয়ার তেলে নিষেধাজ্ঞা বসিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই সঙ্গে তারা এবং জি-৭ গোষ্ঠীর দেশগুলি (কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, ব্রিটেন, আমেরিকা) গোটা বিশ্বের জন্য সেই তেল কেনার দর বেঁধেছে ব্যারেল পিছু ৬০ ডলারে। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় ভারতকে তাদের অশোধিত তেল উরাল ক্রুড ৬০ ডলারেরও কম দামে বিক্রি করেছে মস্কো। কিছু ক্ষেত্রে দাম নেওয়া হয়েছে উৎপাদন খরচের থেকে ১২-১৫ ডলার কম। ওই সূত্রের দাবি, পশ্চিমী দেশগুলির বাজার বন্ধ হওয়ায় রাশিয়ার তেল উৎপাদনকারীরা তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে। অর্থনীতিকে সচল রাখতে তেল তাদের বেচতেই হবে। তাই এশিয়ার মতো বিকল্প বাজারে খুঁটি শক্ত করতে অন্যান্য সরবরাহকারীদের থেকে বেশি ছাড় দিয়ে ক্রেতা টানা ছাড়া উপায় নেই। যার সুবিধা পাচ্ছে ভারতের মতো বিপুল তেল আমদানিকারী দেশ।
আমেরিকা ও ইউরোপের দাবি, এই দাম বাঁধা ও নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার তেলের বাজারে আসা পুরো বন্ধ করতে পারবে না। তবে তার দাম স্থির থাকবে। রাশিয়া অতিরিক্ত লাভের মুখ দেখবে না। ফলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর তহবিল কমবে। দাম বাঁধার সিদ্ধান্ত না-মানার হুমকি দিয়েছে মস্কো। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন বিশ্ব বাজারে নিজেদের তেল বিক্রি বহাল রাখা। সে জন্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে সস্তায় দিনে ১০ লক্ষ ব্যারেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাইছে।
ভারতে অশোধিত তেল রফতানিতে গত মাসেই ইরাককে সরিয়ে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে রাশিয়া। কিনেছে ৩৭ লক্ষ টন উরালের তেল। নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, দেশের স্বার্থে বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকেই জ্বালানি কেনা হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পশ্চিমী দুনিয়াকে এড়িয়ে পরিস্থিতির সুবিধা নিচ্ছে দু’দেশই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy