প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।
দেশের তথ্য দেশেই সংরক্ষণ করা উচিত কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলগুলিতে। বিদেশি সংস্থাগুলিকে কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে, ভারতের তথ্য ভারতেই সংরক্ষণ করতে হবে। তার জন্য গড়ে তুলতে হবে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো। কয়েকটি সংস্থা সেই কাজ শুরুও করে ফেলেছে। এ বার এক ধাপ এগিয়ে আরএসএসের শাখা সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের দাবি, দেশের তথ্যকে আরও বেশি সুরক্ষিত করতে দেশীয় পেমেন্ট গেটওয়ে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং অনলাইন পরিষেবা সংস্থাগুলির পাশে দাঁড়াক কেন্দ্র। যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব তৈরি করা হোক ভারতের নিজস্ব কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো এক চিঠিতে সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজনের বক্তব্য, দেশে তৈরি তথ্য আসলে জাতীয় সম্পদ। সুতরাং একে দেশেই সংরক্ষণ করা দরকার। সেই তথ্য বাণিজ্যিক, কৌশলগত কিংবা ব্যক্তিগত হতে পারে। দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনাতেও এ ব্যাপারে বোঝাপড়া থেকে বিরত থাকুক ভারত। স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের যুক্তি, এই মুহূর্তে তথ্যের সার্বভৌমত্ব এবং তথ্যের জাতীয়তাবাদ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য, বহু অ্যাপ রয়েছে যারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত তথ্য জমা করছে এবং আরও তথ্য সংগ্রহের অনুমতি চাইছে সরকারের কাছে। এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা উচিত।
মোদীকে লেখা চিঠিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, হরিদ্বারে তাদের জাতীয় সম্মেলনে তথ্যের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কথা হয়েছে। পৃথিবীর প্রতি পাঁচ জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর এক জন ভারতীয়। চার জনের এক জন নেটে কেনাকাটা করেন। তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত কেন্দ্রের। সম্প্রতি আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (আরসিইপি) থেকে পিছিয়ে এসেছে ভারত। তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy