—প্রতীকী চিত্র।
গত জুলাইয়ের পরে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার অগস্টেও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া ৪% লক্ষ্যের নীচে রইল। তবে অস্বস্তি গেল না। বৃহস্পতিবার সরকারি পরিসংখ্যানেই দেখা গিয়েছে ১০ শতাংশের বেশি হারে বেড়েছে আনাজ এবং ডালের মতো খাদ্যপণ্য। তার উপর এ দিনই কেন্দ্রের হিসাবে স্পষ্ট, ঝিমিয়ে পড়ছে শিল্প। জুলাইয়ে বৃদ্ধি ৪.৮%।
অগস্টের ৩.৬৫% মূল্যবৃদ্ধি জুলাইয়ের ৩.৬% থেকে সামান্য বেশি। তবে আগের বছরের ৬.৮৩ শতাংশের থেকে বেশ কম। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাস্তবে বাজারে পণ্য এতটাও সস্তা হয়নি। আগের বারের উঁচু ভিতের নিরিখে কম লাগছে। এ বার খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ৫.৬৬%। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের সতর্কবার্তা, উঁচু ভিতের সুবিধা কমছে। মূল্যবৃদ্ধি সেপ্টেম্বরে ফের ৪.৮% হতে পারে। অক্টোবর-মার্চে থাকতে পারে ৪.৪-৪.৭ শতাংশ। অন্য দিকে, শিল্প বৃদ্ধি শ্লথ হয়েছে মূলত কারখানা ও খননে উৎপাদন বৃদ্ধির হার কমায়। স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্য দেখেছে সঙ্কোচন।
অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলছেন, ‘‘খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি খাতায় কলমে কমলেও, বাজারে গিয়ে তা তেমন উপলব্ধি করছেন না সাধারণ মানুষ। সত্যিই দাম কমাতে হলে আগে দেশে তেলের দাম কমানো জরুরি। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল সস্তা হলেও সেটা করা হয়নি। অথচ মূল্যবৃদ্ধি নির্দিষ্ট মাত্রায় না কমলে সুদ কমানো কঠিন। আর সুদ না কমলে শিল্পের লগ্নি বৃদ্ধি মুশকিল। যা উৎপাদন বৃদ্ধির রসদ।’’ পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের মতে, ‘‘মূল্যবৃদ্ধির শুধু মাথা নামালে হবে না। তা ধারাবাহিক এবং স্থায়ী হতে হবে। কিন্তু অনিশ্চিত আবহাওয়ায় কৃষি উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তা বহাল।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ককে সুদ কমানোর সুযোগ দিলেও, খাদ্যপণ্য তাতে জল ঢালছে। তবে এ মাসে আমেরিকায় সুদ কমলে তাদের উপর চাপ বাড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy