প্রতীকী ছবি।
সামান্য মাথা নামাল খুচরো মূল্যবৃদ্ধি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুনে তা হয়েছে ৭.০১%। সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য দাবি, এতে স্বস্তি পাওয়ার বিশেষ কারণ নেই। তা এখনও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া ৬ শতাংশের সর্বোচ্চ সীমার অনেক উপরে। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ৭.৭৫%। আনাজের ১৭.৩৭%। তবে আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দাবি, চড়া মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে গরিব মানুষদের সে ভাবে ভুগতে হয়নি। তাঁদের দামের প্রভাব থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প।
ইউএনডিপি-র রিপোর্ট তুলে ধরে নির্মলা বলেন, ভারতকে এমন অর্থনীতি বলা হয়েছে যেখানে মূল্যবৃদ্ধির কারণে দরিদ্রদের উপরে সামান্য প্রভাব পড়ছে। রিপোর্টে বলছে, ভারতে মূল্যবৃদ্ধি কাউকে সেই দারিদ্র সীমার নীচে ঠেলে দেয়নি যেখানে দিনে আয় ১.৯ ডলার। তবে দিন প্রতি ৩.৩ ডলার এবং ৫.৫ ডলার যাঁদের আয়, সেই দুই দারিদ্র সীমার তলায় নেমেছেন কিছু মানুষ। যদিও তা সামান্য। নির্মলার দাবি, নিখরচায় মাসে ৫ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়ার মতো বিভিন্ন প্রকল্পই এই ‘সাফল্যের’ কারণ।
টানা ছ’মাস ধরে ৬ শতাংশের উপরে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি। শুধু তাই নয়, একাংশ মনে করাচ্ছে ডলারের নিরিখে টাকার দামের লাগাতার পতনের কথা। যা মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ডলারের দাম বাড়লে পণ্য আমদানি করার খরচ বাড়বে। সেগুলি দিয়ে দেশে যে জিনিস তৈরি হবে, চড়বে তার উৎপাদন খরচ। ফলে বাড়বে খুচরো বাজারে সেগুলির দামও। তাই খুচরো মূল্যবৃদ্ধি সামান্য মাথা নামালেও পণ্যের চড়তে থাকা দাম নিয়ে উদ্বেগ যাচ্ছে না। তার উপরে জ্বালানির খরচ এখনও বেশ চড়া। যা পরিবহণের খরচকেও বাড়িয়ে রেখেছে।
তবে নির্মলার আরও দাবি, এখন প্রতিটি পণ্য ধরে তার দামে নজরদারি চলছে। মূল্যবৃদ্ধিকে নিশানা করে এ ভাবে পণ্যের দামের উপরে কেন্দ্রের তরফে সরাসরি আক্রমণ জারি থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy