রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। —ফাইল চিত্র।
গ্রাহক ঋণ শোধ করে দেওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাঁর হাতে সংশ্লিষ্ট সম্পদের আসল (অরিজিনাল) নথি ফিরিয়ে দিতে হবে নথিভুক্ত ব্যাঙ্ক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে। সেই সম্পদ স্থাবর হোক কিংবা অস্থাবর, নথি ফেরাতে গড়িমসি করা চলবে না। সেগুলি সংরক্ষণের জন্য নথিভুক্তিকরণের (রেজিস্ট্রেশন) সময়ে কোনও চার্জও নেওয়া যাবে না। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনই নির্দেশ দিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। জানিয়েছে, নথি ফেরাতে দেরি করা হলে প্রতি দিনের জন্য ৫০০০ টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাঙ্ককে। গ্রাহকই সেই টাকা পাবেন। ১ ডিসেম্বর কিংবা তার পরে যে নথি ফেরানোর কথা, সেগুলির ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
বহু দিন ধরে ঋণগ্রহীতাদের অনেকেরই অভিযোগ, ধার শোধ হয়ে যাওয়ার পরেও বেশ কিছু ঋণদাতা সংস্থা আসল নথি ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করায় তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন। বার বার ছোটাছুটি করতে হওয়ায় হয়রানিও বাড়ে। বুধবার শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, নথি ফেরতের ক্ষেত্রে এক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক এক রকমের নীতি নিয়ে চলে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহকেরা। ক্ষোভ বাড়ছে তাঁদের মধ্যে। বহু অভিযোগ আসছে। এ নিয়ে অভিন্ন নীতি থাকা দরকার। তাই এই উদ্যোগ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, কোনও কারণে নথি ফেরাতে দেরি হলে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাঙ্কটিকে উদ্যোগী হয়ে তা জানাতে হবে গ্রাহককে। ব্যাখ্যা করতে হবে বিলম্বের কারণ। গ্রাহক কোথা থেকে (ঋণ অ্যাকাউন্টের শাখা কিংবা যে শাখায় নথি সংরক্ষণ হয়) তাঁর নথি সংগ্রহ করতে চান, সে কথাও জিজ্ঞেস করে নিতে হবে। সময়সীমা এবং নথি ফেরানোর জায়গার তথ্য লেখা থাকতে হবে ঋণ মঞ্জুরির চিঠিতেই।
বিজ্ঞপ্তিতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছে, আচমকা ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হলে, তাঁর আইনি উত্তরাধিকারির হাতে আসল নথি ফেরত দিতে ব্যবস্থা করতে হবে ঋণদাতাকে। এ জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে তাদের। সেই নীতির কথা স্পষ্ট লেখা থাকতে হবে ঋণদাতা সংস্থার ওয়েবসাইটে, ঋণ সংক্রান্ত নিয়মাবলির সঙ্গেই। যদি সম্পত্তির নথি হারিয়ে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা হলে তার বিকল্প (ডুপ্লিকেট) বা সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহককে সাহায্য করতে বাধ্য থাকবে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বা ব্যাঙ্ক। এমনকি বহন করতে হবে গোটা সংশ্লিষ্ট খরচ এবং ক্ষতিপূরণও। এর জন্য তারা অতিরিক্ত ৩০ দিন সময় পাবে। অর্থাৎ, সে ক্ষেত্রে গ্রাহককে যে জরিমানা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ওই প্রতিষ্ঠানকে, তা হিসাব করা হবে তাঁর ঋণ শোধের ৬০ দিন পর থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy