প্রতীকী চিত্র।
যাবতীয় আশঙ্কা উড়িয়ে ফের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে বার্তা দিল কেন্দ্র। শুক্রবার মাসিক রিপোর্টে অর্থ মন্ত্রকের দাবি, কোভিডের দ্বিতীয় ধাক্কার পরে লক্ষ্য বেঁধে নতুন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা, ঋণনীতির যথাযথ প্রয়োগ এবং দ্রুত টিকাকরণ— এই তিন পদক্ষেপের সুফল হিসেবেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাঙ্গা হওয়ার লক্ষণ স্পষ্ট।
বিরোধীরা অবশ্য প্রতিষেধকের ঘাটতি ও তা প্রয়োগের শ্লথ গতি নিয়ে লাগাতার বিঁধছেন কেন্দ্রকে। ত্রাণ প্রকল্পকে মানুষের ‘চোখে ধুলো দেওয়া’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন তারা। অভিযোগ, ৬.২৯ লক্ষ কোটি টাকার ওই প্যাকেজে ঋণের বন্দোবস্ত হয়েছে। যেখানে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বা রঘুরাম রাজনের মতো অর্থনীতিবিদেরা চাহিদা বাড়াতে বার বার নগদ সাহায্যের দাবি করেছেন।
অর্থ মন্ত্রকের দাবি, উৎপাদন ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রকল্প (পিএলআই), সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে চালু প্রকল্পের পরে এই প্যাকেজই ঘোরাবে অর্থনীতির চাকা। ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ হিসেবে এপ্রিল, মে মাসে কর আদায় এবং সড়ক ও রেল ক্ষেত্রে লগ্নি, ই-ওয়ে বিল বৃদ্ধির হিসেবও তুলে ধরেছে তারা। তবে মেনেছে, পুনরুজ্জীবন বহাল রাখতে টিকাকরণে গতি আনতে হবে।
রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তপ্রদেশের মতো কিছু রাজ্যে টিকাদানের গতি কম জানানো হলেও, দেশে ১০ শতাংশের কম মানুষের দু’টি ডোজ় পাওয়ার জন্য সরকারি নীতিকেই কাঠগড়ায় তুলছেন অনেকে। তাঁদের মতে, এই জন্যই সারা দেশে একসঙ্গে কাজ-কারবার শুরু করা যাচ্ছে না। চাহিদা ফিরছে না। তার উপরে শিল্পে উৎপাদন, গাড়ি বিক্রি থেকে রফতানি, সর্বত্র বিপুল বৃদ্ধির হিসেব গত বছরের নিচু ভিতের নিরিখে। সঙ্গে জিনিসের চড়া দামে বিক্রির দফারফা হওয়া তো আছেই। ফলে একে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ বলা চলে কি না, প্রশ্ন থাকছেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy