রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানী। ছবি: সংগৃহীত।
জিয়ো ও হটস্টারের নামে ডোমেন কিনে বিপাকে দিল্লিবাসী এক প্রযুক্তিবিদ। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে মুকেশ অম্বানীর সংস্থা ‘রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়’। ওই ডোমেনের ট্রেডমার্ক ও মালিকানা নিয়ে মামলা করেছে দেশের প্রথম সারির এই শিল্পগোষ্ঠী।
দিল্লিবাসী প্রযুক্তিবিদের কেনা ডোমেনটির নাম ‘জিয়োহটস্টার ডট কম’। রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর ‘জিয়ো’ এবং বহুজাতিক আমেরিকান সংস্থা ‘ডিজ়নি প্লাস হটস্টার’ একীভূত হওয়ার বিষয়ে আন্দাজ পেয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, এর পরই ওই ডোমেন কিনে নেন দিল্লির উদ্যোগপতি।
রিলায়্যান্সের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়া এই ডোমেনের বর্তমান মালিকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। যদিও তাঁর দাবি, রিলায়্যান্স কমার্শিয়ালের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অম্বুজ যাদবের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থা যোগাযোগ করে। শুধু তাই নয়, এগ্জ়িকিউটিভ টিউশন ফি বাবদ মুকেশ অম্বানীর সংস্থা তাঁর কাছে ৯৩ হাজার ৩৪৫ পাউন্ড চেয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভারতীয় মুদ্রায় যা ১ কোটি টাকারও বেশি।
এই টাকা দিতে তিনি অস্বীকার করায় রিলায়্যান্স মামলা রুজু করেছে বলে অভিযোগ দিল্লিবাসী উদ্যোগপতির। বিষয়টি নিয়ে নিজের ওয়েবসাইটে লম্বা পোস্ট দিয়েছেন তিনি। সেখানে মুকেশ অম্বানীর সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করার ক্ষেত্রে নিজের অসহায়তার কথা উল্লেখ করেছেন অভিযুক্ত প্রযুক্তিবিদ।
নিজের ওয়েবসাইটে এই নিয়ে একাধিক যুক্তি দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর কথায়, গত বছর (পড়ুন ২০২৩) ডোমেন কেনার সময়ে ‘জিয়োহটস্টার’-এর কোনও ট্রেডমার্ক ছিল না। ফলে এতে মেধা-সম্পত্তি চুরি করা হয়েছে, এমন কথা বলা যাবে না।
ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে অভিযুক্ত লিখেছেন, ‘‘রিলায়্যান্সের মতো সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাবার ক্ষমতা আমার নেই। ২০২৩ সালে ডোমেন কেনার সময়ে ট্রেডমার্ক ভেঙে বেআইনি কিছু করেছি বলে মনে করি না। কারণ ওই সময়ে ‘জিয়োহটস্টার’-এর কোনও অস্তিত্ব ছিল না। এখন যা পরিস্থিতি তাতে ডোমেনের অ্যাক্সেস হারানোর আশঙ্কা করছি।’’
দীর্ঘ দিন ধরেই রিলায়্যান্স তার জিয়ো এবং ডিজ়নি প্লাস হটস্টারকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করছে। এতে সংস্থাটির ডিজিটাল পরিষেবা আরও শক্তিশালী হবে। সে ক্ষেত্রে জিয়ো টেলিকম এবং হটস্টারের স্ট্রিমিংকে বাজারে জনপ্রিয় করার ব্যাপারে এই ডোমেনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। তবে এই নিয়ে চলা মামলার বিষয়ে মুকেশ অম্বানীর সংস্থার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy