স্তূপীকৃত: পুরনো বৈদ্যুতিন সামগ্রীতে ভরেছে চাঁদনি চকের ফুটপাত। —নিজস্ব চিত্র।
বৈদ্যুতিন বর্জ্যই (ই-ওয়েস্ট) তৈরি করছে ব্যবসার সূত্র। সেই বাজার দখল করতে ঝাঁপাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। সংশ্লিষ্ট মহলের হিসেবে, ভারত বৈদ্যুতিন বর্জ্য উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম হলেও, এ দেশে তা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার (রিসাইক্লিং) ব্যবসার মাত্র ৫% রয়েছে সংগঠিত ক্ষেত্রের হাতে। কলকাতার এমনই এক সংস্থা হুলাডেক রিসাইক্লিং-এর মতে, তিন-চার বছরে তা ১০%-১৫% ছোঁবে। যার মধ্যে ৫% দখল করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংগ্রহ কেন্দ্র বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। এখন তা ০.৫%।
যন্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থা বা বাড়ি-আবাসন থেকে ই-বর্জ্য সংগ্রহ করে রিসাইক্লিং সংস্থার (যারা বর্জ্য থেকে পুনর্ব্যবহারের উপাদান বার করে) কাছে জোগান দেয় হুলাডেক। সম্প্রতি সংস্থাটির সিএমডি নন্দন মলের দাবি, ২০২০ সালে গোটা দেশে ৩২ লক্ষ টন বৈদ্যুতিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছিল। টাকার অঙ্কে তার মূল্য প্রায় ১৬০০ কোটি। কিন্তু এই বিপুল বাজারের অধিকাংশই যায় অসংগঠিত ক্ষেত্রের হাতে। তারা যে উপায়ে সেগুলি থেকে উপাদান বার করে পুনর্ব্যবহারের চেষ্টা করে, তা সব সময়ে পরিবেশের পক্ষে ভাল নয়। এ ছাড়া কিছুটা বর্জ্য জমি ভরাটে ব্যবহার হয়। এই সব ক্ষেত্রেই ঠিকমতো ব্যবস্থা ছাড়া তা করলে দূষণ ছড়াতে পারে।
নন্দন জানান, পাঁচ বছরে এখনও পর্যন্ত ২০ হাজার টন ই-ওয়েস্ট সংগ্রহ করেছেন। তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করতে যেগুলির ডেটা নিয়ম মেনে পুরো নষ্ট করা হয়। লক্ষ্য, ২০২৫-এর মধ্যে ৫০ হাজার টন সংগ্রহ করা। করোনা ও তার জেরে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসার বাড়ায় ই-বর্জ্য বাড়ছে। সেই বাজারকে পাখির চোখ করছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy