ব্র্যান্ড বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাস্তব জগতের মেলামেশা, মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছে সম্পর্কের ভিত পোক্ত করার বিকল্প নেই। প্রতীকী ছবি
ডেটা, সামাজিক মাধ্যম, ডিজিটাল প্রযুক্তির রমরমায় বাস্তব বিশ্বের মধ্যে ক্রমশ আর একটা আলাদা বিশ্ব গড়ে উঠেছে। চলতি কথায় যা ‘ভার্চুয়াল’ জগৎ। নতুন পরিস্থিতির সঙ্গী হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা মানলেও বুধবার পাবলিক রিলেশন্স সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (পিআরএসআই)-কলকাতা চ্যাপ্টারের সভায় বিজ্ঞাপন তথা ব্র্যান্ড বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাস্তব জগতের মেলামেশা, মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছে সম্পর্কের ভিত পোক্ত করার বিকল্প নেই। বিশেষত ব্র্যান্ডিং বা বিজ্ঞাপনী জগতে তা আরও জরুরি।
অতিমারি পেরিয়ে দু’বছর পরে বসেছিল সংগঠনের বিশেষ বার্ষিক সভা। শিরোনাম ছিল ‘ব্র্যান্ড-এজ’। শতবর্ষ পার করা আনন্দবাজার গোষ্ঠীকেও এ দিন সংবর্ধনা দেয় তারা।
সেখানে বিজ্ঞাপন-বিপণন-ব্র্যান্ডিং ক্ষেত্রের দুই বিশেষজ্ঞ পীযূষ পাণ্ডে ও হরিশ ভাটের আলাপচারিতায় উঠে এল বাস্তব জগতের মুখোমুখি বসা, সম্পর্কের বুনোট তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা। কলকাতায় প্রথম কর্মজীবন শুরু করা বহু জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনের স্রষ্টা পীযূষ বলেন, ‘‘ডেটা গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটার ঝাঁকালে ডেটা মিলবে। কিন্তু নজর উঁচু করলে দুনিয়া দেখবেন। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, কথা বলা জরুরি।’’ ক্রিকেট কী শিক্ষা দেয় প্রাক্তন ক্রিকেট খেলোয়াড় পীযূষকে, প্রশ্ন ছিল হরিশের। জবাবে দলের একজন হয়ে ওঠার বার্তা দিলেন তিনি। বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় কুমার রায়েরও বক্তব্য, ডিজিটালের মতো নতুন মঞ্চে পা রাখলেও বাস্তব অভিজ্ঞতা, বৈঠকে শারীরিক উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ।
তাঁদের হাতিয়ার কী তা বোঝাতে রসিকতা করেই পীযূষ বলেন, ‘‘ইস্পাতের কারখানা নেই। কিছু উৎপাদনও করি না। আমাদের কাছে সম্পর্কটাই আসল। মস্তিষ্ক দিয়ে নয়, ব্র্যান্ড তৈরি হয় হৃদয় দিয়েই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy