গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি বেশি অঙ্কের ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে দেউলিয়া বিধি প্রয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে সেই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। তার পরে ঋণ খেলাপি ও অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) মোকাবিলায় শুক্রবার সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করল শীর্ষ ব্যাঙ্ক। বলা হয়েছে, সংস্থা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধার শোধ করতে ব্যর্থ হওয়ার ৩০ দিন পরে তাকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এর আগে বলা হয়েছিল, তা করতে হবে এক দিনের মধ্যে।
ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্যত পুরনো নির্দেশিকার ভিতের উপরেই তৈরি হয়েছে নতুন ব্যবস্থার কাঠামো। সেই সঙ্গে ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ব্যাঙ্ক-সহ ঋণদাতারা ও ঋণ গ্রহণকারী সংস্থার জন্য।
শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের দাবি, ‘‘যে সব ব্যবসা সাময়িক আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, নতুন কাঠামো তাদের স্বস্তি দেবে। কিছুটা সুরক্ষিত হবে চাকরি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা পাবে লগ্নিকারীরাও।’’
আগের বিজ্ঞপ্তি
যে সব সংস্থার ঋণ ২,০০০ কোটি টাকা বা তার বেশি, তারা ধার শোধে নির্দিষ্ট সময়ের এক দিন দেরি করলেও তাকে খেলাপি চিহ্নিত করে দেউলিয়া আইনে ব্যবস্থা নিতে হবে।
১৮০ দিনের মধ্যে ছকতে হবে ওই অনুৎপাদক সম্পদ মেটানোর পরিকল্পনা।
তা না হলে তার ১৫ দিনের
মধ্যে এনসিএলটিতে পাঠাতে হবে সংস্থাটিকে।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংস্থা ঋণ শোধে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ৩০ দিন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ওই সময়ের মধ্যেই পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখতে পারবে ঋণদাতারা। তবে সংস্থাকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানো বা ঋণ উদ্ধারের জন্য আইনি ব্যবস্থা, সবই করতে হবে তার পরে ও নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে। সম্মতির ভিত্তিতে (৭৫% বকেয়া রয়েছে এমন ও সংখ্যার বিচারে ৬০% ঋণদাতা) এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ঋণদাতারা।
এ বার কী ব্যবস্থা
অনুৎপাদক সম্পদ উদ্ধারের পদ্ধতি-সহ আগের সব নির্দেশিকা প্রত্যাহার।
সংস্থা নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ শোধ না করলে ৩০ দিন পরে তাকে খেলাপি আখ্যা দিতে পারবে ঋণদাতারা। তার মধ্যে দেখা হবে সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতি।
সংস্থা আর্থিক সমস্যায় ভুগলে দেউলিয়া হওয়ার আগেই ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর পদক্ষেপ।
দ্রুত অনুৎপাদক সম্পদের সনাক্তকরণ, বকেয়া ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা।
এর সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ করতে না পারলে তার জন্য অতিরিক্ত আর্থিক সংস্থান।
অনুৎপাদক সম্পদের জন্য অর্থের সংস্থানের ক্ষেত্রেও স্বস্তি দেওয়া হয়েছে ঋণদাতাদের। বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণের ৩৫% সংস্থান করতে হবে। তার মধ্যে ২০% করতে হবে ঋণ খেলাপের পরে ১৮০ দিনের জন্য। আর ৩৬৫ দিনের মধ্যে সমাধান না মিললে করতে হবে বাকি ১৫% সংস্থান। ফলে ঋণদাতার পুঁজি কম আটকে থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
গত ২ এপ্রিল সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। জানায় তা অসাংবিধানিক। এক্তিয়ারের বাইরে
বেরিয়ে করা।
এনসিএলটির দ্বারস্থ হওয়ার আগে প্রতিটি ঋণ খেলাপির ঘটনা আলাদা বিশ্লেষণ করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy