রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস ছিল গত এপ্রিল-জুনে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ৭.১% ছোঁবে। মেলেনি প্রত্যাশা। কেন্দ্রের হিসাবে ৬.৭ শতাংশেই থমকে গিয়েছে ওই হার। যা ১৫ মাসে সবচেয়ে কম। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, তৃতীয় দফার মোদী সরকারের শুরুটা ভাল হল না অর্থনীতির এমন হোঁচটে। শুক্রবার পরিসংখ্যান প্রকাশের পরে বিষয়টি নিয়ে যখন চর্চা শুরু হয়েছে, তখন বৃদ্ধি নিয়ে আশ্বাস দিলেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। শনিবার তাঁর দাবি, তার হার নেমেছে সরকারি খরচ কমায়। যার সম্ভাব্য কারণ লোকসভা ভোট এবং তার জন্য ওই সময়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে নির্বাচনী আচরণ বিধি জারি থাকা।
গত বছরের এপ্রিল-জুনে বৃদ্ধির হার পেরিয়েছিল ৮%। এ বছরের জানুয়ারি-মার্চেও তা ছিল ৭.৮%। এগুলির নিরিখে ৬.৭% বেশ কম। কোনও সমীক্ষাতেও তা এতটা নামার আশঙ্কা প্রকাশ পায়নি। তবে এ দিন শক্তিকান্তের বক্তব্য, আর্থিক বৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি যেগুলি, সেই চাহিদা, লগ্নি, কল-কারখানায় উৎপাদন, পরিষেবা এবং নির্মাণ ক্ষেত্র ৭ শতাংশের বেশি হারেই বেড়েছে। শুধু দু’টি বিষয় বৃদ্ধিকে সামান্য নামিয়েছে— সরকারের (কেন্দ্র এবং রাজ্য, দু’ক্ষেত্রেই) খরচ এবং কৃষি।
আরবিআই গভর্নর বলেন, ‘‘আশা করব আগামী ত্রৈমাসিকগুলিতে সরকারের খরচ ফের বাড়বে এবং তা বৃদ্ধিকে ঠেলে তুলবে।’’ অনেকে অবশ্য মনে করাচ্ছেন, ক্ষমতায় এখন শরিক নির্ভর মোদী সরকার। ফলে সংস্কার চালানোর যে শর্ত বৃদ্ধির জন্য জরুরি বলে বার্তা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা, তার পথও ততটা মসৃণ হবে না। তার উপর কৃষিতে বৃদ্ধি মাত্র ২%। বিশেষজ্ঞদের মতে, উৎপাদন না বাড়লে খাদ্যপণ্যের দাম কমা কঠিন। শক্তিকান্তের অবশ্য দাবি, এ বার বর্ষা ভাল হয়েছে। কিছু অঞ্চল ছাড়া সারা দেশে তা ছড়িয়েছে। তাই কৃষি নিয়েও আশাবাদী প্রত্যেকে। তাঁর বার্তা, আগামীতে বৃদ্ধি ফের মাথা তুলবে। ফলে এই অর্থবর্ষে তাঁদের ৭.২% বৃদ্ধির পূর্বাভাস মেলারই আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy