প্রতীকী ছবি
ভারতে তৈরি চামড়ার ব্যাগ, জুতো, বেল্ট, পোশাকের কদর বিশ্ব জুড়ে। কিন্তু সেই সব পণ্য তৈরির অন্যতম উপকরণ, যেমন ছোট তালা, লাইনিং, জিপার ইত্যাদি আমদানি হত চিন থেকে। সে দেশে করোনা যুঝতে লকডাউনের ধাক্কায় জানুয়ারি থেকেই
যা আসা কার্যত বন্ধ। সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষের জেরে চিনা পণ্য বয়কটের ডাকও। এই অবস্থায় অন্যান্য দেশ থেকে উপকরণ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের চর্মপণ্য সংস্থাগুলি। তাদের নজরে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ। তবে এর জেরে রফতানিযোগ্য চর্মপণ্যের দাম বেড়ে গেলে দেশীয় সংস্থাগুলি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে কি না, উঠছে সেই প্রশ্ন।
রাজ্যের শিল্প মহল সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গেই বছরে কমপক্ষে ৫০০-৬০০ কোটি টাকার ওই ধরনের উপকরণ পড়শি মুলুক থেকে আমদানি করা হয়। একে তা সহজলভ্য, তার উপরে দামেও সস্তা। ফলে চিনা উপকরণ দিয়ে তৈরি চর্মপণ্যের দরও তুলনায় কম। যার হাত ধরে ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে অন্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারত ভারতীয় সংস্থাগুলি। কিন্তু চিনে এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও, আমদানি আগের জায়গায় ফেরেনি। ফলে বাধ্য হয়েই বিকল্পের কথা ভাবছে সংস্থাগুলি।
কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টসের পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান রমেশ জুনেজা জানান, ব্যবসার নীতিই হল, যেখানে কম দামে ও সহজে কাঁচামাল পাওয়া যায়, সেখান থেকে তা নিয়ে আসা। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেক সংস্থাই চিনের বদলে এখন জাপান, তাইওয়ান থেকে বেশি দামে ওই সমস্ত উপকরণ আমদানি করতে চলেছে। এতে চর্মপণ্যের দাম বাড়বে ঠিকই। তবে রফতানি পুরোদমে শুরু না-হওয়ায় বোঝা যাচ্ছে না ব্যবসার উপরে কতটা প্রভাব পড়বে। তবে বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে বেশি দামের পণ্য যে রফতানি করা যাবে না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তাঁরা।
আরও পড়ুন: বন্দর দিয়ে চিনে রফতানি ধাক্কা খাবে না তো!
সেই সঙ্গে জুনেজা বলেন, ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনায় এখনও চিনা পণ্য বয়কট নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র। সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, সংস্থাগুলিকেও তা মানতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy