প্রতীকী ছবি।
কর্পোরেট কর কমানোর সিদ্ধান্তে সংসদের সিলমোহর বসিয়ে নিল মোদী সরকার। কিন্তু শিল্প সংস্থার জন্য ন্যূনতম বিকল্প করের (ম্যাট) বিষয়টি এক বছর পিছিয়ে দিল কেন্দ্র।
অর্থনীতির ঝিমুনি কাটাতে কর্পোরেট কর কমানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিছু শর্তের ভিত্তিতে তা কমিয়ে ২২% করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়েছিলেন, যে সমস্ত সংস্থা নতুন কর কাঠামোর সুবিধা নেবে না, তাদের জন্য ম্যাট ১৮.৫% থেকে কমিয়ে ১৫% করা হবে। এই সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করতে যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল তাতেও বলা হয়েছিল, কম ম্যাটের সুবিধা মিলবে ২০১৯-২০ থেকে। কিন্তু অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করার সংশোধনী বিলে বলা হয়েছিল, ২০২০-২১ থেকে এই সুবিধা মিলবে। একে কেন্দ্র করে সরকারি নীতিতে অনিশ্চয়তার অভিযোগ তোলে শিল্প। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের জয়রাম রমেশের প্রশ্ন, অধ্যাদেশের সঙ্গে বিলে এই ফারাক কেন? নির্মলা অবশ্য জানিয়েছেন, সরকার ২০২০-২১ থেকেই এই সুবিধা দিতে চেয়েছিল। ভুল ছিল অধ্যাদেশে।
কর্পোরেট সংস্থার করের বোঝা কমলেও, বাজেটে অতি ধনীদের আয়ে সারচার্জ বাড়িয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। ফলে বছরে ৫ কোটি টাকার বেশি আয়সম্পন্ন ব্যক্তিদের করের বোঝা ৩৯% থেকে বেড়ে ৪২.৭% পৌঁছয়। শিল্পপতিদের আয়কর বাড়লে তাঁরা এ দেশে লগ্নিতে উৎসাহ দেখাবেন কি না, সে প্রশ্ন উঠেছিল সেই সময়ে। এ দিন রাজ্যসভায় আয়কর কমানোর দাবি তুলেছে বিভিন্ন দল। নির্মলা অবশ্য কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি। বরং গত পাঁচ বছরে মোদী সরকার আয়করের বোঝা কমাতে কী কী পদক্ষেপ করেছে, তার ফিরিস্তি দিয়েছেন।
কর্পোরেট কর কমানোর পদক্ষেপও কতখানি কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জয়রাম। তাঁর অভিযোগ, শুনে মনে হচ্ছে কর্পোরেট করের হার ৩০% থেকে কমে ২২% হয়েছে। কিন্তু কার্যকর হার ২৮.৫% থেকে কমে হয়েছে ২৫.১৭%। আসলে আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘হাউডি মোদী’-র দিকে তাকিয়েই তার দু’দিন আগে এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কারণ প্রধানমন্ত্রী বিদেশে যাওয়ার আগে বড় ঘোষণা করতে পছন্দ করেন। নির্মলার অবশ্য দাবি, নতুন কারখানায় করের বোঝা কমায় দেশে নতুন লগ্নি আসবে।
সেবির কাছেই আবেদনের নির্দেশ স্যাটের
মুম্বই, ৪ ডিসেম্বর: বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির বিরুদ্ধে অভিযোগের সুরাহা চাইতে সেই সেবির কাছেই আবেদন জানানোর জন্য তিনটি ব্যাঙ্ক-কে নির্দেশ দিল সিকিউরিটিজ় অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল (স্যাট)। ওই তিনটি ব্যাঙ্ক হল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং ইন্দাসইন্দ ব্যাঙ্ক। স্যাট সেবিকে বলেছে ব্যাঙ্কগুলির বক্তব্য শুনে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে রায় দিতে।
বজাজ ফিনান্সও একই রকম অভিযোগ নিয়ে স্যাটে গিয়েছিল। তাদেরও একই নির্দেশ দিয়েছে সেবি। লগ্নিকারীদের বন্ধক রাখা শেয়ার ওই তিন ব্যাঙ্ক ও বজাজ ফিনান্সের কাছে বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছে কার্ভি। ওই ভাবে লগ্নিকারীদের বন্ধক রাখা শেয়ারকে কাজে লাগিয়ে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নেওয়া যায় না বলে জানিয়েছে সেবি। শুধু তা-ই নয়, সেবির নির্দেশে এনএসডিএল সংশ্লিষ্ট লগ্নিকারীদের বন্ধকী শেয়ারের অধিকাংশই ফিরিয়ে দিয়েছে। সেবির ওই নির্দেশের বিরুদ্ধেই স্যাটে গিয়েছে ওই তিন ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক সংস্থাটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy