প্রতীকী ছবি।
চলতি বছরে ভাল ফলন সত্ত্বেও, মজুতদারির কারণে কাঁচা পাটের জোগানে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে চটকল মালিকদের অভিযোগ। ফলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শস্য রাখার চটের বস্তার উৎপাদন ঘিরে। এই অবস্থায় বেআইনি ভাবে মজুত করা কাঁচা পাট উদ্ধারে অভিযানে নামল রাজ্য এনফোর্সমেন্ট বিভাগ। পাট উৎপাদন হয় এমন বেশ কিছু জেলায় জুট কমিশনারের সঙ্গে পরামর্শ করে মঙ্গলবার ওই অভিযান চালান বিভাগের কর্তারা। আগামী দিনেও তা চালু থাকবে বলে সূত্রের খবর।
রাজ্যের অন্যতম প্রধান শিল্প চট। হাজার হাজার শ্রমিক এর সঙ্গে যুক্ত। শিল্প মহলের আশঙ্কা, প্রয়োজন মতো চটের বস্তা সরবরাহ করতে না-পারলে সেই জায়গা দখলে নামতে পারে প্লাস্টিকের বস্তা তৈরির সংস্থাগুলি। বস্তার ঘাটতি নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়ে চটকলগুলিকে বেশি করে তা উৎপাদন করতে বলেছে কেন্দ্রও।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার মতো জেলাগুলিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৬১০০ কুইন্টাল কাঁচা পাট উদ্ধার করা হয়েছে। পাট মজুতের কয়েকটি গুদাম সিল করে দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে একাধিক ব্যক্তিকে।
এ দিনই আবার রাজ্যে পাট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রমসচিব, ডেপুটি জুট কমিশনার কৌশিক চক্রবর্তী, শ্রম কমিশনার এবং চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র প্রতিনিধিরা। বেচারামবাবু বলেন, “চটকলগুলির নানা সমস্যা নিয়ে কথা হয়েছে। বিশেষত মজুত পাট উদ্ধারের অগ্রগতি বুঝতে ২২ নভেম্বর ফের বৈঠক হবে। সে দিনই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কথা হবে।’’
কৌশিকবাবু জানান, “আমরাও মজুত পাট উদ্ধারের জন্য খুব শীঘ্রই অভিযানে নামব। এই সব পাট কোথায় রাখা হয়েছে, তা নিয়ে তথ্য জোগাড় করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই অভিযান হবে।’’ তিনি বলেন, ৫০০ কেজির বেশি কাঁচা পাট মজুত করতে বাধ্যতামূলক ভাবে নথিভুক্তির নিয়ম জারি হয়েছে আগেই। এ জন্য ২৫০০ আবেদনপত্রও জমা পড়েছে। আগামী দিনে বেআইনি মজুতদারি বন্ধে আরও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy