Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
raghuram rajan

রাজন, অমিতের জিডিপি-তির

ভারতে শূন্যের নীচে ২৩.৯ শতাংশে তলিয়ে যাওয়া জিডিপি-কে তুলে ধরে মোদী সরকারকে বিঁধলেন দু’জনেই।

অর্থনীতিবিদ রঘুরাম রাজন ও পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।—ফাইল চিত্র।

অর্থনীতিবিদ রঘুরাম রাজন ও পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৪৩
Share: Save:

এক দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর, অর্থনীতিবিদ রঘুরাম রাজন, অন্য দিকে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ভারতে শূন্যের নীচে ২৩.৯ শতাংশে তলিয়ে যাওয়া জিডিপি-কে তুলে ধরে মোদী সরকারকে বিঁধলেন দু’জনেই। এর নিরিখে সারা বিশ্বে সব থেকে হতশ্রী পরিসংখ্যান এ দেশেরই, এই অভিযোগ তুলে দায়ী করলেন সরকারি নীতিকে। আর সেই প্রসঙ্গে চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন, দেশ জোড়া বিপর্যয় সামলাতে কেন্দ্রের ভাঁড়ার থেকে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম আর্থিক সাহায্যই অর্থনীতিকে খাদের আরও গভীরে ঠেলে দিয়েছে।
কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে রাজন লিঙ্কডইন পেজ-এ করা তাঁর পোস্টে স্পষ্ট করে ত্রাণ (রিলিফ) ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দাওয়াইয়ের (স্টিমুলাস) ফারাক বুঝিয়েছেন। বলেছেন, জিডিপি-র এই পতন ভীতিপ্রদ। অসংগঠিত ক্ষেত্রের ক্ষতি হিসেবের পরে ছবিটা আরও খারাপ আসতে পারে। ফলে ভবিষ্যতে স্টিমুলাস আনার রসদ জমা করতে গিয়ে সরকার যদি এখন প্রয়োজনীয় ত্রাণ দিতে না-চায়, তা হলে সেটা চরম বোকামি। তাতে চাহিদা আরও নামবে। তাঁর বার্তা, এখনই ত্রাণ বা সাহায্য আনা না-হলে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষমতা। সম্ভাব্য স্টিমুলাসের কথা বলে সরকারি আধিকারিকেরা যে ক্ষতিকে বড্ড ছোট করে দেখছেন। অথচ এটা চললে জিডিপি আরও সঙ্কুচিত হবে। বর্তমান সঙ্কটে আরও চিন্তাশীল ও সক্রিয় সরকার দরকার বলেও সওয়াল করেছেন তিনি।
এই প্রেক্ষিতে শিকাগো ইউনিভার্সিটির এই অধ্যাপক আমলতন্ত্রকে আত্মতুষ্টি থেকে বেরিয়ে অর্থপূর্ণ পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক ভাবে প্রথমে কিছুটা সক্রিয়তা দেখানোর পরে সরকার যেন খোলসের মধ্যে সেঁধিয়ে গিয়েছে।’’
অমিত কেন্দ্রকে বিঁধেছেন ২০ লক্ষ কোটি টাকার উৎসাহ প্যাকেজ প্রসঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রীর তোপ, ওতে আগের বছরের তুলনায় বাড়তি আর্থিক সাহায্য এতটাই কম যে, ১১ লক্ষ কোটির জিডিপি বরাবরের জন্য মুছে গিয়েছে।
এ দিন রাজনের দাবি, করোনার আগেই শ্লথ বৃদ্ধি ও সরকারের চাপে থাকা রাজকোষের কারণে সরকারি আধিকারিকেরা বিশ্বাস করেন ত্রাণ ও অর্থনীতি চাঙ্গা করার দাওয়াই একসঙ্গে দেওয়া যায় না। তাঁর মতে এই মনোভাব হতাশাজনক।। বরং এটাই বুদ্ধি করে খরচের সময়। শুধু তরুণ প্রজন্মকে খুশি করতে নয়, অসহযোগী প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে থতমত খাওয়াতেও ভারতের পোক্ত বৃদ্ধি হার জরুরি, মত রাজনের।

অন্য বিষয়গুলি:

Raghuram Rajan Amit Mitra GDP GDP Growth rate
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy