—প্রতীকী চিত্র।
দেশের অর্থনীতির বহরকে দ্রুত ৫ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়া আর তার পরে জার্মানি-জাপানকে ছাপিয়ে তাকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি করে তোলার স্বপ্ন ফেরি করছে মোদী সরকার। তবে সেই লক্ষ্য পূরণের অন্যতম শর্ত যে কর্মসংস্থান, তার চাহিদা অনুযায়ী তৈরি না হওয়া নিয়ে চড়ছে বিতর্ক। আঙুল মূলত যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে চড়া বেকারত্বের হারের দিকে। সম্প্রতি এক্স-এ একটি পরিসংখ্যান দিয়ে সেই বিতর্ক আরও উস্কে দিলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। এর আগেও এমনই এক হিসাব তুলে ধরে তিনি বলেছিলেন, সমাজের একটা বড় অংশের হাতে কাজ না থাকা ভারতে আর্থিক বৈষম্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
সম্প্রতি বিশ্ব অর্থনীতি সংক্রান্ত বিশ্লেষণমূলক ওয়েবসাইট ‘দ্য গ্লোবাল ইকনমি ডট কম’-এ প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন কৌশিকবাবু। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে আমেরিকা (৭.৮৯%), অস্ট্রেলিয়া (৮.২৯%), দক্ষিণ কোরিয়া (৬.৮৮%), ভিয়েতনামের (৭.৪৪%) মতো দেশে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে বেকারত্ব চড়া হলেও ১০ শতাংশের নীচে। কিন্তু ভারত রয়েছে সিরিয়া (২২.১%), আর্মেনিয়া (২৪.৫৭%), লেবাবন (২৫.৫%), ইয়েমেন (২৫.৬৪%) এবং ইরানের (২৬%) মতো রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতাপূর্ণ দেশগুলির গা ঘেঁষে। এই সব জায়গায় বেকারত্ব ঝাঁকুনি দেওয়ার মতো, ২০% পার। ভারতের ২৩.২%। আগের বারও এক্স-এ বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রকাশিত ২০২২-এর তালিকা অনুযায়ী এ দেশে বেকারত্বের এই হারই পোস্ট করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন কৌশিক।
তিনি এ বার লিখেছেন, ‘‘২০২২-এর একটি উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান। ভারতের এই সারিতে থাকার কথা নয়। যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন উঁচু হারের বেকারত্ব ভারতের মানব পুঁজির ক্ষতি করছে। ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। শুধু স্লোগান নির্ভর না হয়ে আমাদের এই পরিসংখ্যানে চোখ রেখে নীতিগত পদক্ষেপ করা উচিত।’’
সম্প্রতি খোদ কেন্দ্রের হিসাবেও দেখা গিয়েছে ২০২২-এর জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত স্নাতকদের মধ্যে বেকারত্ব ছিল ১৩.৪%। সরকার অবশ্য দাবি করে বেকারত্বের হার ৩.২%। যা ছ’বছরের সর্বনিম্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy