বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল নেমেছে ব্যারেল পিছু ৭৫ ডলারের কাছে। প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল (ব্রেন্ট ক্রুড) নেমেছে ব্যারেল পিছু ৭৫ ডলারের কাছে। ডব্লিউটিআই বিকোচ্ছে প্রায় ৭১ ডলারে। তাই দেশে উৎপাদিত তেলে মঙ্গলবার ‘অতিরিক্ত মুনাফা কর’ (উইন্ডফল ট্যাক্স) শূন্যে নামাল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। ডিজ়েল এবং বিমান জ্বালানির (এটিএফ) থেকে উইন্ডফল কর তোলা হয়েছিল আগেই। এ বার দেশীয় অশোধিত তেলেও তা রইল না। তার পরেই শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে চর্চা, উইন্ডফল কর বসিয়ে সরকার রাজকোষ ভরেছে বিপুল। এখন বিশ্ব বাজারে পড়তি দামের কারণে তেল সংস্থাগুলির সুবিধা-অসুবিধার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু দেশীয় জ্বালানি সস্তা করে আন্তর্জাতিক দামের সুবিধা সাধারণ ভারতীয়ের দরজায় পৌঁছনোর কোনও চেষ্টা নেই।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, তেল উৎপাদক এবং রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক ফের দৈনিক অশোধিত তেলের উৎপাদন কমিয়ে বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম বাড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পনা সফল হয়নি। এটা তেলে ভারতের মতো আমদানি নির্ভর দেশের পক্ষে স্বস্তির। উইন্ডফল কর তোলায় কিছুটা হাঁফ ছেড়েছে এখানকার তেল বিক্রেতারাও। তবে দেশে ও বিদেশে, কোথাও সামগ্রিক ভাবে পরিস্থিতি নিশ্চিন্ত হওয়ার মতো নয়। এর কারণ হিসেবে তাদের দাবি, প্রথমত: তেলের চাহিদা ঝিমিয়ে থাকাতেই জোগান কমা সত্ত্বেও বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমেছে। এতে অদূর ভবিষ্যতে উন্নত অর্থনীতিগুলির গতি আরও শ্লথ হওয়া কিংবা মন্দার খাদে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। যার ঢেউ এসে আছড়ে পড়তে পারে ভারতের অর্থনীতিতেও। দ্বিতীয়ত: ভারতে তেল আমদানির খরচ কমলেও, সাধারণ মানুষ তার সুবিধা পাচ্ছেন না। বরং দীর্ঘ দিন ধরে পেট্রল-ডিজ়েলের দর স্থির। অথচ বিশেষজ্ঞেরা বার বারই বলছেন তেলের দাম কমিয়ে মূল্যবৃদ্ধিতে আরও রাশ টানা যায়। বিশেষত মূল্যবৃদ্ধির হার অনেকটা কমলেও, পরে তা ফের বৃদ্ধির আশঙ্কাও রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy