—প্রতীকী ছবি।
লকডাউনে টানা ৬৮ দিনের রুজি হারিয়েছেন অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা। যার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। আর সেই আন্দোলনকে তুলে ধরেই আজ, বৃহস্পতিবার বিজেপি সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ডাকা ধর্মঘট নিয়ে প্রশ্ন তুলছে একাংশ। কিছু ট্রেড ইউনিয়ন ও সমাজের অরাজনৈতিক কয়েকটি মহলের যুক্তি, ধর্মঘট আরও এক দিনের রোজগার কাড়বে। অথচ সমস্যার সমাধান কতটা করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। যদিও ধর্মঘটীদের দাবি, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার লড়াই এটা।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স রিসার্চের ভারতীয় দূত উমাশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, লকডাউনের পরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হাল চূড়ান্ত খারাপ। বহু মানুষ আয়ের খোঁজে প্রতি দিন লড়াই করছেন। এই অবস্থায় সমাজের কারও এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে সেই পথ কোনও ভাবে এক দিনও বন্ধ হয়। অন্য দিকে ধর্মঘটের কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন, ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএমডি দেবব্রত সরকার। তিনি বলেন, ‘‘সরকারের কোনও নীতি বা পদক্ষেপ সমস্যা তৈরি করলে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য ট্রেড ইউনিয়নগুলি যদি সমাজের বিভিন্ন স্তরের সংগঠন এবং মানুষকে সক্রিয় করে তোলে, সেটাই বেশি কার্যকর হবে।’’
তবে ধর্মঘট ডেকেছে যে ইউনিয়নগুলি, তাদের মত অবশ্য ভিন্ন। এআইইউটিইউসির সভাপতি শঙ্কর সাহা, সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেন এবং আইএনটিইউসির রাজ্য সভাপতি কামারুজ্জামান কামার বলেন, ‘‘আমরা সাধ করে ধর্মঘট করছি না। সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে আমাদের দেশের শ্রমিকদের হাতে আর কী অস্ত্র আছে! এক দিনের রোজগার তাঁদের হারাতে হবে ঠিকই। কিন্তু তাই বলে কেন্দ্রের একের পর এক শ্রমিক বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কি তাঁরা প্রতিবাদ করবেন না? একেই বেকারত্ব বাড়ছে। তার উপর আইন বানিয়ে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের রাস্তা চওড়া করছে কেন্দ্র।’’
আইএনটিটিইউসি সভাপতি দোলা সেন অবশ্য বলেন, তাঁরা ধর্মঘট করে শ্রম দিবস নষ্টের বিপক্ষে। তাঁর অভিযোগ, বাম জমানায় বছরে ৭৭ লক্ষ শ্রম দিবস নষ্ট হয়েছে। তাতে শিল্প ও শ্রমিক, দু’পক্ষেরই ক্ষতি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy