প্রতীকী ছবি।
এ বারের বাজেটে ডিজিটাল সম্পদ এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনকে আয়করের আওতায় আনার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন কর বিশেষজ্ঞেরাও। সম্প্রতি এক আলোচনাসভায় তাঁদের মতে, গত কয়েক বছর ধরে ওই সব লেনদেন বিপুল বেড়েছে। কোটি কোটি টাকা হাতবদল হচ্ছে। তাই এ ভাবে পৃথক কর চালু করা সময়োপযোগী।
ডিরেক্ট ট্যাক্স প্রফেশনাল্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিটিপিএ) সভায় আয়কর বিশেষজ্ঞ নারায়ণ জৈন বলেন, ‘‘ক্রমশ ওই সব ডিজিটাল সম্পদের লেনদেন বাড়ছে। অথচ তার উপরে কর বসানোর কোনও আইনি ব্যবস্থা এত দিন ছিল না। তাই এ ভাবে আয়কর আইনে পৃথক করের সংস্থান করা ঠিক সিদ্ধান্ত।’’ তবে আয়কর আইনের বদলে মানুষের ঝামেলা বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি। জৈনের কথায়, “বাজেটে আয়কর আইনের মোট ৮৪টি পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে কর মেটানোর নিয়মের ঝক্কি বেড়েছে।’’ যদিও বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম আয়োজিত অন্য এক সভায় রাজস্ব সচিব তরুণ বজাজ জানান, ‘‘বাজেটে করে সংস্কার আনাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য ছিল। তাই আমদানি এবং উৎপাদন শুল্কের হার এমন ভাবে পাল্টানো হয়েছে, যাতে দেশীয় শিল্প এবং রফতানিকারীরা উৎসাহ পায়।’’
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ঘোষণা ছিল, আগামী অর্থবর্ষে ব্লক-চেন প্রযুক্তিতে ডিজিটাল মুদ্রা আনবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এর বাইরে যাবতীয় ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডিজিটাল সম্পদকে দেখা হবে শুধুমাত্র সম্পত্তি হিসেবেই। যার লেনদেনে বসবে ৩০% কর। সঙ্গে কাটা হবে ১% উৎস করও (টিডিএস)। ক্রিপ্টো বা ডিজিটাল সম্পদ হস্তান্তর করে মুনাফা হলে কর দিতে হবে। কিন্তু লোকসান করলে তার জন্য কর ছাড় পাওয়া যাবে না। উপহার হিসেবে পেলেও দিতে হবে কর।
সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য তাঁর নিয়োগকারী বা শুভানুধ্যায়ীরা আর্থিক সাহায্য করলে অথবা করোনায় মৃতের পরিবার আর্থিক সাহায্য পেলে সেই টাকায় কোনও বসবে না বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। এ ক্ষেত্রে পরিবারকে ১২ মাসের মধ্যে টাকা পেতে হবে, যার সর্বাধিক অঙ্ক হতে পারবে ১০ লক্ষ। এই সিদ্ধান্তকে আয়কর আইনের আওতায় আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy