প্রতীকী চিত্র।
লকডাউনের সময়ে সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার পরে আতিথেয়তা শিল্প (হোটেল ও রেস্তরাঁ) ধীরে ধীরে চালু হলেও ব্যবসার অবস্থা এখনও যথেষ্ট নড়বড়ে। তাদের অভিযোগ, বারবার আর্জি জানিয়েও কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনও রকম ত্রাণ মেলেনি। এই অবস্থায় রেস্তরাঁর খাবার কিনতে বা হোটেলের ঘর ভাড়া করতে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য ক্রেতা ও পর্যটকদের কাছে আর্জি জানাল এই ক্ষেত্রের সংগঠন ফেডারেশন অব হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশন্স অব ইন্ডিয়া (এফএইচআরএআই)। তবে প্রশ্ন উঠেছে, ক্রেতাদের বরাত পৌঁছে দেওয়ার যে পরিকাঠামো অ্যাপ নির্ভর সংস্থাগুলির রয়েছে, তা হোটেল-রেস্তরাঁরা আছে কি? তা ছাড়া পর্যটন এজেন্ট বা অ্যাপ নির্ভর খাবার সরবরাহ সংস্থার মাধ্যমে বুকিং কমে গেলে ঘুরিয়ে সেই আতিথেয়তা শিল্পেরই ক্ষতি হবে না?
অতিমারির সময়ে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে হোটেল বা রেস্তরাঁ থেকে খাবার অর্ডার দেওয়া বেড়েছে। সেই সুযোগে ব্যবসা বাড়িয়েছে অ্যাপ নির্ভর সরবরাহ সংস্থাগুলি। এফএইচআরএআইয়ের দাবি, অতিমারিতে ব্যবসা তলানিতে নামায় বহু হোটেল ও রেস্তরাঁর ঝাঁপ এখনও বন্ধ। যারা কোনওক্রমে টিকে রয়েছে, তাদেরও অ্যাপ-ভিত্তিক সংস্থার কমিশন মিটিয়ে ব্যবসা চালাতে সমস্যা হচ্ছে। সে কারণে ক্রেতারা হোটেল-রেস্তরাঁগুলিকে সরাসরি অর্ডার দিন। অন্তত কয়েকটা মাস। যাকে পোশাকি ভাষায় বলা হচ্ছে ‘গো ডিরেক্ট’।
আতিথেয়তা শিল্পের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত ধারণ ক্ষমতার ৫০% নিয়ে চালুর অনুমতি পেয়েছে হোটেল ও রেস্তরাঁগুলি। ফলে সরাসরি আয় কমেছে ৫০%। ফলে ৩.৫ কোটি কর্মসংস্থানের সূত্র এই শিল্প যথেষ্ট সমস্যায়। এফএইচআরএআইয়ের প্রেসিডেন্ট গুরবক্সিশ সিংহ কোহলির বক্তব্য, ‘‘পর্যটন সংস্থা এবং অ্যাপ সংস্থাগুলিকে আয়ের ২০%-৩০% কমিশন দিতে হয়। এখন ব্যবসার যা অবস্থা তাতে এই কমিশন দেওয়া এখন প্রায় কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। সেই খরচ কিছুটা কমানো গেলে নগদের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে। তাই সরাসরি বুকিংয়ের আর্জি।’’
যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, করোনাকালে অ্যাপ সংস্থাগুলির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের একটি নতুন সূত্র তৈরি হয়েছে। সেগুলির মাধ্যমে রেস্তরাঁগুলি ব্যবসাও পায়। পর্যটন সংস্থার ব্যাপারটা একই রকম। ফলে এফএইচআরএআইয়ের আর্জি আদৌ কতটা বাস্তবোচিত?
অভিযোগের কথা মেনে নিয়েছেন গুরবক্সিশ। তাঁর কথায়, ‘‘সেটা ঠিক। তবে ওই সংস্থাগুলিও তো ব্যবসার জন্য আমাদের উপর নির্ভরশীল। আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত হোটেল-রেস্তরাঁই যদি বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে তো দু’পক্ষই ডুববে। সকলকেই বাঁচতে হবে। তাই আমরা সাময়িক ভাবে সরাসরি অর্ডার দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের সদস্যদেরও প্রয়োজনে নিজস্ব সরবরাহ পরিকাঠামো গড়তে বলছি।’’ সংগঠনের আর এক কর্তা সুরেন্দ্র কুমার জয়সওয়ালের বক্তব্য, অতিমারির ধাক্কা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে তাঁরা এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কোনও সাহায্য পাননি। সে কারণেই সরাসরি ক্রেতাদেরই দ্বারস্থ হতে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy