গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এপ্রিলে ৪.৭% ছুঁয়ে ১৮ মাসের তলানিতে নেমেছে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি। প্রতীকী ছবি।
মূল্যবৃদ্ধির থাবা বেশ খানিকটা আলগা হল ঠিকই। তবে সেই নিশ্চিন্তি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারল না ঝিমিয়ে পড়া শিল্পোৎপাদনের সৌজন্যে।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে প্রকাশ, গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এপ্রিলে ৪.৭% ছুঁয়ে ১৮ মাসের তলানিতে নেমেছে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি। আর মার্চে ১.১ শতাংশে নেমে পাঁচ মাসে ন্যূনতম শিল্পবৃদ্ধির হার। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে তা ৪.১% কমেছিল। তার পরে এতটা নীচে এই প্রথম। এমনকি আগের বছরের মার্চেও ছিল ২.২%। গোটা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ ধরলে উদ্বেগ আরও বেশি। ২০২১-২২ সালে শিল্পবৃদ্ধি ছিল ১১.৪%। গত বছর কমে হয়েছে ৫.১%।
কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে আর্থিক কর্মকাণ্ড যখন জোরকদমে এগোচ্ছে, তখন শিল্পোৎপাদনের এমন তলিয়ে যাওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিশ্ব অর্থনীতির ঝিমিয়ে পড়া আবহে ভারত বহু দেশের থেকে এগিয়ে আছে বলে দাবি কেন্দ্রের। কিন্তু শিল্পে উন্নতির তলানিতে ঠেকা হার লগ্নির খরাকে আরও স্পষ্ট করার পাশাপাশি চাহিদা বৃদ্ধি নিয়েও সংশয় তৈরি করেছে। ফলে আর্থিক বৃদ্ধি ওবেকারত্ব কমার সম্ভাবনা নিয়েও আশঙ্কা থাকছে বলে ধারণা অনেকের।
আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্ত বলেন, ‘‘মূল্যবৃদ্ধির মাথা নামানো অবশ্যই দেশের পক্ষে ভাল খবর। আশা, বর্ষা ভাল হলে তা আরও কমবে। তবে শিল্পোৎপাদনের তলানিতে নামা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। লাগাতার সুদ বৃদ্ধির কারণে চাহিদা কমাই এর জন্য দায়ী। আশা করব, আরবিআই আগামী ঋণনীতিতে চাহিদা বাড়াতে পদক্ষেপ করবে। পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের দাবি, পণ্যের দাম কমা অর্থনীতির অগ্রগতির পথ মসৃণ করবে। তবে সেই পথে কাঁটা শিল্পে উৎপাদন হ্রাস। অবিলম্বে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া জরুরি। মূল্যবৃদ্ধি কমার সুযোগ নিয়ে সরকারের সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy