প্রতীকী ছবি।
মূল্যবৃদ্ধির ছেঁকায় যখন আমজনতার দুর্ভোগ চরমে, তখন বিশ্ব বাজারে ফের ঊর্ধ্বমুখী অশোধিত তেলের দাম (ব্যারেলে ১২২ ডলার)। তেল মন্ত্রকের তথ্য বলছে, ভারত যে বাস্কেট থেকে তেল কেনে তা পৌঁছেছে ব্যারেল পিছু ১২১.২৮ ডলারে। ১০ বছরে সব থেকে বেশি। এতেই জ্বালানির দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে দেশে। এর আগে ভারতীয় বাস্কেটে দাম এত উঁচুতে উঠেছিল ২০১২-র ফেব্রুয়ারি-মার্চে।
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বলছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি-২৯ মার্চ (রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পরেই) ভারতীয় বাস্কেটে অশোধিত গড় দাম ছিল ১০১.৮৬ ডলার। পরে ৩০ মার্চ-২৭ এপ্রিল তা নামে ১০৩.৪ ডলারে। এখন সেটাই ১২১ ডলার পার।
দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম বাড়াচ্ছে না রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। কিন্তু তাতে যে তারা খুশি নয় সেটাও স্পষ্ট। দাম বাড়াতে না পারায় লোকসানে পড়ার কথা কেন্দ্রকে জানিয়েছে, বলেছেন তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। তখনই প্রশ্ন ওঠে, লোকসানের বার্তা দিয়ে কি ফের পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির জমি তৈরি করা হচ্ছে? তাই ১০ বছরের চড়া আমদানিমূল্য এ দিন তেল-গ্যাসের দাম নিয়ে উদ্বেগ উস্কে দিয়েছে। শিল্প মহল সূত্রেরও দাবি, দেশে পাম্পে এখনও তেলের দাম স্থির হচ্ছে অশোধিত তেল ৮৫ ডলার ধরে। কারণ চড়া মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রে উদ্যোগের পাশে থাকাই সংস্থাগুলির লক্ষ্য। কিন্তু তারা আসলে পেট্রলে লিটারে ১৮ টাকা ও ডিজ়েলে ২১ টাকা লোকসান গুনছে। যদিও বিরোধীরা বার বারই প্রশ্ন তুলছেন, অশোধিত তেল যখন তলানিতে নেমেছিল তখন কেন সেই হারে জ্বালানির দাম কমেনি?
মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে দু’দফায় ইতিমধ্যেই ৯০ বেসিস পয়েন্ট সুদ বাড়িয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, তেল আরও দামি হলে তাতে লাভ হবে কি? পরিবহণ খরচই তো পণ্যের দামকে ঠেলে তুলবে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy