এ রাজ্যেও কমল গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত গ্যাসের (সিএনজি) দাম। ফাইল ছবি।
কেন্দ্র প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম স্থির করার সমীকরণ ও পদ্ধতি সংশোধন করার পরে এ রাজ্যেও কমল গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত গ্যাসের (সিএনজি) দাম।
প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে তৈরি হওয়া সিএনজি এখন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের পাম্পগুলি থেকে বিক্রির বরাত পেয়েছে তিনটি বণ্টন সংস্থা— ইন্ডিয়ান অয়েল আদানি গ্যাস (আইওএজি), বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি (বিজিসি) এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম (এইচপিসি)। অদূর ভবিষ্যতে তারা পাইপবাহিত রান্নার গ্যাসও (পিএনজি) বিক্রি করবে।
গত এক বছরে অন্যান্য জ্বালানির মতো প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও বিপুল চড়েছে। ফলে দেশে সিএনজি, পিএনজি-র দর বাড়ে ৭০ শতাংশের বেশি। আগামী বছর লোকসভা ভোটের আগে আমজনতার ব্যবহার্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই জ্বালানির দামে রাশ টানতে সম্প্রতি দরের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধেছে কেন্দ্র। আগামী দু’বছর তা স্থির থাকবে বলেও জানিয়েছে।
গত বছর প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ার পরে আইওএজি, বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি এবং এইচপিসি রাজ্যে তাদের এলাকার সিএনজি স্টেশনগুলিতে তার দাম বাড়িয়েছিল। এ বার কেন্দ্রের পদক্ষেপের পরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অন্যান্য বণ্টন সংস্থা যখন দাম কমিয়েছে, তখন তারাও এ রাজ্যে একই পথে হাঁটল।
আইওএজি সূত্রের খবর, গত নভেম্বর থেকে দুই বর্ধমানে তাদের ১৯টি সিএনজি স্টেশনে প্রতি কেজি জ্বালানি বিক্রি হচ্ছিল ৯৪.৫০ টাকায়। এ বার তা ৫ টাকা কমে হল ৮৯.৫০ টাকা। হুগলি, হাওড়া, নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনায় আপাতত চালু ১৬টি পাম্পে এইচপিসি এত দিন সিএনজি বিক্রি করছিল প্রতি কেজি ৯৫ টাকায়। এখন তা মিলছে ৯২ টাকায়। বৃহত্তর কলকাতা এবং রাজারহাটে এখনও পর্যন্ত ৮টি সিএনজি স্টেশন চালু করেছে বেঙ্গল গ্যাস। সেখানেও দাম কেজি প্রতি ৯১.৮৩ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৯০.৮০ টাকা।
তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, দেশের অন্যান্য প্রান্তে সিএনজি বণ্টনকারী বিভিন্ন সংস্থার কাছে গ্যাসের জোগান অনেক সহজলভ্য। এ রাজ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেল-এর মূল পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের কথা থাকলেও, তার কাজ অনেকটাই বাকি। সেটি বর্ধমানের পানাগড় পর্যন্ত এসেছে। এর পর এক দিকে, হুগলি হয়ে নদিয়ায় এবং অন্য দিকে হুগলি থেকেই হাওড়া হয়ে হলদিয়ায় যাওয়ার কথা। তাই যেখানে কাজ বাকি, সেখানে গ্যাস বড় বড় সিলিন্ডারে (কাসকেড) ভরে ট্রাকে করে পাম্পে জোগানো হচ্ছে। বণ্টনকারী সংস্থাগুলির আলাদা লাইনও সম্পূর্ণ হয়নি বহু জায়গায়। ওই মহলের মতে, এতে পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে দেশের এমন সব স্থানে গ্যাস জোগানের খরচ যতটা, তার থেকে বেশি দক্ষিণবঙ্গে। ফলে ওই তিন সংস্থার আর্থিক বোঝাও বেশি। তাই সিএনজির দাম কিছুটা চড়া। তাদের দাবি, পুরো পরিকাঠামো তৈরি হলে সেই খরচ কমার সম্ভাবনা যথেষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy