প্রতীকী ছবি।
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে কয়লার ঘাটতির কথা শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। এ বার সেন্ট্রাল ইলকট্রিসিটি অথরিটির (সিইএ) সাম্প্রতিকতম তথ্যে সেই ছবি আরও স্পষ্ট হল। সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, কয়লা খনির থেকে দূরে যে সমস্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে (পোশাকি ভাষায় নন-পিটহেড), গত সোম থেকে বৃহস্পতিবার সেগুলিতে কয়লা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্র ২৬%। একে যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, দ্রুত মজুত বাড়ানো না গেলে গরম আরও বাড়লে বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যা হতে পারে।
কেন্দ্রের যদিও বক্তব্য, দ্রুত গরম পড়া এবং আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুতের চাহিদা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশে কয়লার অভাব নয়, বরং এই চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ।
দেশে মোট ১৭৩টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কয়লার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিইএ। যার মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২০২ গিগাওয়াট। কেন্দ্রগুলির মধ্যে ১৫৫টি খনির থেকে দূরে অবস্থিত। সেগুলি ১৬৩ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। অর্থাৎ,সিংহভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রই নন-পিটহেড। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এগুলিতে কয়লার অভাব থাকা স্বস্তির নয়। যে ১৮টি কেন্দ্র খনির কাছাকাছি অবস্থিত (পিটহেড) সেগুলিতে সাধারণত কয়লার অভাব হয় না।
কয়লা সচিব এ কে জৈনের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘এটা কয়লার সমস্যা নয়। বিদ্যুতের চাহিদা ও জোগানের ফারাকের সমস্যা।
অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি ও স্বাভাবিকের তুলনায় আগে গরম পড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। সমস্যা বাড়িয়েছে গ্যাস ও আমদানিকৃত কয়লার খরচ বৃদ্ধি।’’ সচিব জানান, দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের অধিকাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রই কয়লা আমদানির উপরে নির্ভরশীল। কিন্তু তার দাম অনেকটাই বেড়েছে। গ্যাসের দাম বাড়ায় ধাক্কা খেয়েছে গ্যাস-নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন। তিনি বলেন, গত বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রের থেকে কয়লার সরবরাহ ছাঁটাই করে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছিল। এ বছরও তা করা হতে পারে। জোগান বাড়াবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোল ইন্ডিয়াও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy