প্রতীকী ছবি।
টালমাটাল রাজ্যের পোলট্রি শিল্প। কারণ ব্রয়লার মুরগিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া গুজব। শিল্পের দাবি, এরই মধ্যে ক্ষতির বহর দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
বছর দু’য়েক আগে ভাগাড়-কাণ্ড সামনে আসার পরে রাজ্যে মুরগির মাংসের চাহিদা এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গিয়েছিল। সেই সময়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল পোলট্রি শিল্পের। ওই শিল্পের বক্তব্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবরকে ঘিরে ফের একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ পোলট্রি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি জানিয়েছেন, মুরগির সঙ্গে করোনার যে কোনও সম্পর্ক নেই, তা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত চাহিদার তেমন উন্নতি হয়নি। রাজ্যের কাছেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
ফেডারেশনের দাবি, গুজবের জেরে গত তিন সপ্তাহে রাজ্যে জ্যান্ত ব্রয়লার মুরগির বিক্রি কমেছে ৪০%। গোটা মুরগির পাইকারি দাম ঠেকেছে কেজি প্রতি ৫০-৫৫ টাকায়। যেখানে খামারে মুরগি বড় করতেই প্রতি কেজিতে খরচ হয় প্রায় ৮০ টাকা।
রাজ্যে পোলট্রি
• খামারের সংখ্যা ৫ লক্ষ।
• প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ১৫ লক্ষ মানুষ জড়িত।
• সপ্তাহে গড়ে ১ কোটি ২০ লক্ষ মুরগি উৎপাদন হয়।
• মুরগি রফতানি হয় ঝাড়খণ্ড, বিহার ও অসমে।
• পোলট্রি ব্যবসার অঙ্ক বছরে ১৬,০০০ কোটি টাকা।
সূত্র: পোলট্রি ফেডারেশন
তবে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগমের এমডি গৌরিশঙ্কর কোনার জানান, হরিণঘাটার মুরগি বিক্রিতে করোনার গুজব বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেনি। গড়ে প্রতি দিন প্রায় ৪ টন মাংস বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy