—ফাইল চিত্র।
অন্তত গত ছ’মাস দেশের অর্থনীতির ঝিমিয়ে থাকার কথা কবুল করল কেন্দ্র। মঙ্গলবার ইন্ডিয়া এনার্জি ফোরামের মঞ্চ থেকে রেল ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল স্পষ্টই স্বীকার করে নিলেন, গত দু’টি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি ঝিমিয়ে পড়ে নেমেছে ছ’বছরের সবচেয়ে নীচে। মানলেন, এই অবস্থা সামাল দেওয়া সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলেও। তবে একই সঙ্গে তাঁর দাবি, এই শ্লথ গতি আসলে অর্থনীতির স্বাভাবিক ওঠাপড়ার নিয়মের চক্র মেনেই এসেছে এবং বৃদ্ধি ফের মাথা তোলার আগে এটাই লগ্নির আদর্শ সময়।
৫ শতাংশে নামা বৃদ্ধি বা সঙ্কুচিত শিল্পোৎপাদনের হিসেবে দেশ জুড়ে চাহিদার অভাব স্পষ্ট। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক টানা পাঁচ বার সুদ কমানোর পরেও বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছেঁটেছে। অর্থনীতির গতি শ্লথ হওয়ার ইঙ্গিত আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে। মুডি’জের মতো মূল্যায়ন সংস্থার সমীক্ষাও দিচ্ছে বৃদ্ধি কমার বার্তা। তবু সঙ্কটের কথা মানতে নারাজ কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অন্তত ছ’মাসের জন্য হলেও এ দিন সেই অবস্থান থেকে কিছুটা সরলেন গয়াল। তবে তাঁর দাবি, ওই দু’টি ত্রৈমাসিকের আগে চার-পাঁচ বছর নাকি অর্থনীতি রীতিমতো দৌড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে অবশ্য বলছেন, গয়াল যা-ই বলুন, আর্থিক কাঠামো নড়বড়ে হওয়ার জেরেই ভুগছে অর্থনীতি। যার জন্য দায়ী নোটবন্দি এবং তড়িঘড়ি জিএসটি আনা। বারবার যে কথা বলে সরকারকে তুলোধোনা করছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন অর্থনীতিবিদ রঘুরাম রাজন।
তবে গয়ালের বার্তা, ভারতের অর্থনীতিতে বিপুল সুযোগ। হালে সঙ্কটের জেরে কিছু ক্ষেত্রেও আরও বেশি সুবিধা তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, কেন্দ্রের বিভিন্ন পদক্ষেপের জেরে অর্থনীতি অচিরেই ঘুরে দাঁড়াবে। তাই এখন লগ্নি করলে পরে তার সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। গয়ালের দাবি, গত ৫ বছরে তাঁরা যে সব পদক্ষেপ করেছেন এবং তার ফলে যে লগ্নি এসেছে, তার পরিমাণ তার আগের ৫ বছরের দ্বিগুণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy